গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এক সাক্ষাৎকারে মরগ্যান জানান, ‘আমি মনে করি, প্রথম একাদশে বিদেশী কমানোর বিষয়ে এআইএফএফ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলে প্রত্যেক দলেই গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে বিদেশি ফুটবলাররাই দাপট দেখা যাচ্ছে। বাকি জায়গাগুলো শুধু দেশীয় ফুটবলারদের নিয়ে দল সাজানো হচ্ছে। যার ফলে আমরা এমন কোনও স্ট্রাইকারকে দেখছি না, যে নিয়মিত প্রতি মরশুমে ১৫-২০ গোল করছে। অবশ্যই সুনীল ছেত্রী বাকিদের থেকে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত দক্ষতায় সে নিজেকে এক আলাদা উচ্চস্তরে নিয়ে গিয়েছে। তবে সবাই সুনীল ছেত্রী নয়। খুব কম ভারতীয় ফুটবলার রয়েছে, যারা নিয়মিত গোল করছে। গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে ভারতীয় ফুটবলাররা নিয়মিত সুযোগ না পেলে, তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারবে না। এর জন্য প্রথম একাদশে বিদেশি ফুটবলারদের সংখ্যা কমিয়ে ভারতীয় ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা অবশ্যই সঠিক।’
বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলে অন্যান্য বিদেশি ফুটবলারদের তুলনায় স্প্যানিশ ফুটবলাররাই দাপট দেখাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, স্প্যানিশ কোচেদের ওপরও বেশি ভরসা দেখাচ্ছে অনেক ক্লাবই। এর কারণ বলতে গিয়ে মরগ্যান বলেন, ‘বিশ্ব ফুটবলে শেষ এক দশকে স্পেন অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে। তাই হয়তো স্প্যানিশ কোচ ও ফুটবলারদের ওপর বেশি ভরসা রাখা হচ্ছে। কোনও দেশ বিশ্ব ফুটবলে সাফল্য পেলে তাদের ফুটবলারদেরই দলে নিতে হবে, এটা কোনও যুক্তিযোগ্য নয়। শুধু ফুটবলার নয়, কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনটাই মাথায় রাখা হচ্ছে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর এই ধারণা বয়ে আসছে। আমরা যখন বড় হয়েছি, তখন ইতালিয়ান কোচদের ওপর ভরসা রাখা হত। কারণ তখন ইতালি বিশ্ব ফুটবলে দাপট দেখাচ্ছিল। তারপর আসলেন ব্রাজিলীয়রা।’ মরগ্যান অবশ্য জানিয়েছেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আবারও ভারতীয় ফুটবলে কোচিং করাতে রাজি তিনি।