বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আসলে করো না ভাইরাসের সংক্রমনের জেরে ক্রিকেট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অন্যান্য ক্রিকেট সংস্থার মতই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। ডিসেম্বরে যদি ভারতের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হয় তাহলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। তাই দিয়ে আর্থিক সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছেন তারা। আর সেই কারণেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারা ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফরকে সুনিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া সরকার সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সীমানা সিল করে দিয়েছে। যার অর্থ, অস্ট্রেলিয়া থেকে কেউ যেমন অন্য দেশে যেতে পারবেন না, তেমনি কোনও বিদেশী নাগরিক অস্ট্রেলিয়াতেও প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনও শোনা যাচ্ছে, এই লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে বছরের শেষ পর্যন্ত করা হতে পারে। আর সেটা হলে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে সমস্যা হবে। তাই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে ভারতীয় দলকে বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। তাতে বেশ ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলেই দাবি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের। তবে বিরাট কোহলিরা যদি পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলতে যান, তাহলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হল, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। প্রথম টেস্টের আগে কোহলিদের দু সপ্তাহ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে বিসিসিআই।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এই মুহূর্তে এক নম্বরে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। তাই এই দুই দলের মধ্যে টেস্ট সিরিজ হলে দর্শকদের আগ্রহ থাকবে অনেক বেশি। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফাঁকা মাঠে খেলা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও। আসলে তাদের মূল লক্ষ্য হলো, টিভি স্বত্ব বিক্রি করে বিপুল অর্থ রোজগার করা।
কেবিন রবার্টস বলেছেন, "আমি চাইলে বলে দিতে পারতাম এই সিরিজের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। কিন্তু সেটা বলিনি। আমি দশের মধ্যে দিয়েছি নয়। কারণ, ডিসেম্বর মাসে দেশের পরিস্থিতি কেমন থাকবে সেটা এখন থেকে আন্দাজ করা কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তাই সিরিজ হওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।"