অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গত বছর অক্টোবরে বোর্ডের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল। সভাপতি হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। সচিব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন জয় শাহ। তবে তিন বছরের জন্য বোর্ডের নতুন কমিটি গঠিত হলেও সৌরভ এবং জয় পুরো মেয়াদ কাটাতে পারবেন না, যদি সুপ্রিমকোর্ট অনুমতি না দেয়। লোধা কমিটির প্রস্তাব মেনে বিসিসিআইয়ের যে নতুন সংবিধান তৈরি হয়েছে তাতে বলা আছে, একজন পদাধিকারি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং বোর্ড মিলিয়ে ৬ বছরের বেশি কোনও পদে থাকতে পারবেন না। ওই ব্যক্তিকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিওডে যেতে হবে।
এই নিয়মে বিপাকে পড়েছেন বোর্ড সভাপতি এবং সচিব। ২০১৩ সালে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সচিব হয়েছিলেন জয় শাহ। ঠিক তেমনই সৌরভ গাঙ্গুলিও বোর্ড সভাপতি হওয়ার আগে সিএবি সচিব এবং সভাপতির দায়িত্ব সামলে ছিলেন। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৭ মে থেকে সরকারিভাবে বিসিসিআইয়ের সচিব হিসেবে কাজ বন্ধ রেখেছেন জয় শাহ। তাঁর বদলে কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধমাল প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সই করছেন। তবে বোর্ডের সমস্যা বাড়বে যদি জুলাইয়ের আগে সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়াদ বৃদ্ধি না ঘটে। গত ডিসেম্বরে বোর্ডের অ্যাপেক্স কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সভাপতি এবং সচিব উভয়ের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানাবে বিসিসিআই। ইতিমধ্যে বোর্ড সভাপতি এবং সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির মামলা ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের জেরে এই মামলার শুনানি হয়নি। আশা করা হচ্ছে মে মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা জুন মাসে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেবে।
এদিকে, জুলাই মাসে ভারতীয় দলকে তাদের দেশে খেলতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। তবে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল জানিয়েছেন, ‘লকডাউন এখনও পুরোপুরি ওঠেনি। বিদেশ সফরে যাওয়ার জন্য কবে থেকে ভিসা দেওয়া শুরু হবে সেটাও বলা কঠিন। এই পরিস্থিতিতে জুলাই ভারতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরের কোনও সম্ভাবনা নেই, যদি পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হয়।’