কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
লকডাউনে গৃহবন্দি রাহুল দ্রাবিড় অনেকের মতোই ফেসবুক লাইভে হাজির হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সেই আড্ডায় অংশ নিয়েছিলেন ওলিম্পিকসে সোনাজয়ী শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা এবং কিংবদন্তি ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার প্রকাশ পাড়ুকোন। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথন পর্বে দ্রাবিড় বলেন, ‘করোনা সঙ্কট কেটে যাওয়ার পরও তার প্রভাব বেশ কিছুদিন থেকে যাবে। মানুষের মনে এক ধরনের সংশয় বা ভয় কাজ করবে। ক্রীড়াবিদরাও সেই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে না। আমি নিশ্চিত, যখন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরব তখন সবার মধ্যেই জড়তা দেখা দেবে।’ করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে খেলাধুলা। প্রকটিস করারও জো নেই। ফলে অনেক খেলোয়াড় ফিটনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তবে অপ্রত্যাশিত এই বিরতি বহু খেলোয়াড়ের কাছে শাপে বর হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দ্রাবিড়। তাঁর মতে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়ার ফলে অনেকের কেরিয়ার আরও সমৃদ্ধ হবে। টেস্টে ১৩ হাজার ২৮৮ রানের মালিক বলছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিরতিতে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখছি না। আমার বিশ্বাস, মাঠে ফেরার পর সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা খুব একটা অসুবিধায় পড়বে না। বরং অনেকের কাছে এই বিশ্রামটা দারুণ লাভদায়কই হবে। বিশেষ করে যারা টানা খেলাধুলা করে থাকে। আমি অনেক ক্রিকেটারকেই বলেছি যে, এই সময়টাকে শরীর আর মনকে বিশ্রাম দেওয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখতে। আর কখনোই এমন সুযোগ আসবে না। যদি এই দুই মাস ভালোভাবে কেউ কাজে লাগায় তাহলে তার কেরিয়ার আরও দুই-তিন বছর অনায়াসে দীর্ঘায়িত হবে।’
দ্রাবিড় সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘এটা ঠিক যে, দুই-তিন মাস ঠিকঠাক শরীরচর্চা না করলে খেলার সঙ্গে মানিয়ে ওঠাটা কঠিন কাজ। অনেক খেলোয়াড়ের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে তাদের ফিটনেস ফিরে পাওয়া। ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে একটু সময় লাগতে পারে। তবে সেটা কোনও অসাধ্য ব্যাপার নয়। এর জন্য তাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।’