কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ এশিয়া কাপে। সেবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ দু’বলে তিন রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। ক্রিজে ছিলেন হরভজন ও প্রবীণ কুমার। পাকিস্তানের হয়ে বল করছিলেন মহম্মদ আমির। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতানোর সঙ্গেসঙ্গে দু’হাত তুলে বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন ভাজ্জি। সেই উচ্ছ্বাসের মধ্যে লুকিয়ে ছিল শোয়েব আখতারের প্রতি কটাক্ষ। যা ভালোভাবে নেননি রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। নিজেকে সংযত রাখতে না পেরে ম্যাচ শেষে হরভজনকে মারতে সোজা তাঁর হোটেলের ঘরে পৌঁছেছিলেন শোয়েব। যদিও সেখানে তাঁর দেখা পাননি পাক পেসারটি। সেদিনের ঘটনা বলতে গিয়ে শোয়েব জানান, ‘হরভজনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য হোটেলের ঘরে গিয়েছিলাম। ওই ম্যাচের পর ওর উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের অনেকেরই ভালো লাগেনি। ও খুব ভালোভাবে জানত যে শোয়েব আসছে। কিন্তু আমি ওকে খুঁজে পাইনি। পরের দিন মেজাজ ঠান্ডা হতেই সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।’ সেই ঘটনা প্রসঙ্গে হরভজন সিং জানিয়েছেন, ‘হোটেলের ঘরে গিয়ে আমার মারার হুমকি দিয়েছিল শোয়েব। প্রত্যুত্তরে বলেছিলাম, দেখা যাবে। কিন্তু কিছুটা ভয়ও পেয়েছিলাম।’ সেই ম্যাচের ৪৭ তম ওভারে শোয়েবের বলেই লং অনে ছক্কা হাকিয়েছিলেন হরভজন। তারপর রেগে গিয়ে পাক পেসারও ভাজ্জির পাঁজর লক্ষ্য করে দু’টি বাউন্সার দেন এবং তাঁর উদ্দেশ্যে কটূক্তি করেন। পাল্টা তেড়ে যান হরভজনও। শোয়েবের সঙ্গে যখন হরভজনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়, তখন ক্রিজের অপর প্রান্তে ছিলেন সুরেশ রায়না।