কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
ভারতের একমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসেবে সাতটি ওলিম্পিকসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। তবুও লড়াকু মেজাজ এখনও আগের মতোই রয়েছে লিয়েন্ডারের। শুক্রবার ওলিম্পিকস চ্যানেলের সঙ্গে কথোপকথনে লিয়েন্ডার বলেন, ‘ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে লেখা থাকবে লিয়েন্ডার পেজ একমাত্র প্লেয়ার হিসেবে আটটি ওলিম্পিকসে অংশ নিয়েছেন। এটা ভাবলেই গর্ববোধ হয়। আরও একটা বছর শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখাটা আমার কাছে কঠিন নয়। আসল ব্যাপার হল মেন্টাল ফিটনেস ঠিক রাখা। টেনিস আবার যখন শুরু হবে, আমি ঠিক খেলার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।’ লকডাউনে মুম্বইয়ে রয়েছেন লিয়েন্ডার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাবা ভেস পেজ ও ১৪ বছর বয়সী কন্যা আইয়ানা। ৩০ বছরের দীর্ঘ পেশাদার টেনিস জীবনে একটানা এতটা সময় পরিবারের সঙ্গে কখনও কাটাননি লিয়েন্ডার। রান্নাবান্না, ঘর পরিষ্কার, বাসন মাজা, গাছে জল দেওয়া- যাবতীয় সাংসারিক কাজকর্ম একার হাতে সামলাচ্ছেন তিনি। এরই ফাঁকে নিজেকে উজ্জীবিত করতে নিজের গত সাতটি ওলিম্পিকসের ভিডিও ক্লিপিংস দেখছেন পেজ। সেই সঙ্গে বাবার ৫০ বছরের ক্রীড়া জীবনের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাচ্ছেন পুত্র লিয়েন্ডার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা আমার কাছে সব সময় দারুণ গর্বের বিষয়। ওলিম্পিকসে ১০ হাজারের মতো অ্যাথলিট অংশ নেন। তাঁদের প্রত্যেকের আবেগ ও উদ্যমকে আমি কুর্নিশ জানাই। আটলান্টা ওলিম্পিকসের সিঙ্গলসে সেরগিও ব্রুগুয়েরা, আন্দ্রে আগাসির মতো তারকাদের হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। ওই সাফল্য আমাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। তবে ১৯৯২ বার্সেলোনা ওলিম্পিকসে রমেশ কৃষ্ণানের সঙ্গে জুটিতে পদক হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ চিরকাল থাকবে। সেবার প্রথমদিকে শীর্ষ বাছাইদের হারিয়েও কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। এথেন্স ওলিম্পিকসে মহেশের (ভূপতি) সঙ্গে জুটিতে ব্রোঞ্জ প্লে-অফে হেরে গিয়েছিলাম। ওটাই আমার জীবনে কঠিনতম গেমস। তার পরেই আমার ব্রেন টিউমারের ভুল ডায়াগনোসিস করেছিলেন চিকিৎসকরা।’ পেশাদার সার্কিটে ডাবল ও মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে আঠারোটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী লিয়েন্ডার আরও বলছেন, ‘হারকে ঘৃণা করি। এই স্লোগান সামনে রেখে আমি এগিয়ে চলেছি। আমার ইচ্ছা, জীবনের শেষ ওলিম্পিকসে যেন মনে রাখার মতো পারফরম্যান্স করতে পারি।’