নয়াদিল্লি, ১৩ মে: অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মত ভারতীয় দলে ‘স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি’ পদ্ধতি চালু করা কঠিন বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক ক্রিকেটার। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ কখনোই মেনে নিতে পারবে না। কারণ সে অধিনায়কত্বটা উপভোগ করছে। হঠাৎ করে ওকে যদি বলা হয়, তুমি একটা ফরম্যাটের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে দাও, তাহলেও সেটা ভালোভাবে নিতে পারবে না বিরাট। এই সমস্যাটা ইংল্যান্ড দলে নেই। কারণ জো রুট এবং ইয়ন মর্গ্যান একে অপরকে প্রচণ্ড সম্মান করে। ওদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিরাটের থেকে আলাদা। তাই ইংল্যান্ডে স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি যত সহজে চালু করা সম্ভব হয়েছে, সেটা ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’
কোহলির মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তাঁর পূর্বসূরি সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রশংসার বন্যায় বাসিয়ে দিয়েছেন নাসের হুসেন। তাঁর মতে, গড়াপেটা কাণ্ডের ছায়া কাটিয়ে ভারতীয় দলের অভূতপূর্ব উত্থানের অন্যতম কাণ্ডারী সৌরভ। প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন মহারাজ। তাঁর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক হিসেবে শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশেও সাফল্যের ধ্বজা উড়িয়ে ছিল সৌরভের ভারত। নাসের হুসেন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সৌরভ দায়িত্ব নেওয়ার আগেও ভারতীয় দল বেশ ভালোই ছিল। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, জাভাগাল শ্রীনাথের মত ক্রিকেটাররা খেলতেন। তবে সেই দলে তেমন আগ্রাসী মনোভাব দেখা যেত না। খেলতে হয় খেলা। অন্যরকম উত্তেজনা দেখা যেত না ক্রিকেটারদের মধ্যে। অনেকটা, ‘সুপ্রভাত, কেমন আছো’ ধরনের। কিন্তু সৌরভ ক্যাপ্টেন হওয়ার পর চেহারাটাই বদলে গিয়েছিল ভারতীয় দলের। একটা শক্তিশালী টিম গড়ে তুলতে পেরেছিল সৌরভ। ওর ক্যাপ্টেন্সিতে দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় ফুটে উঠত। বিপক্ষ দলকে বাড়তি গুরুত্ব দিত না। টসের সময় আমাকে এবং স্টিভ ওয়াকে আধঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখেও ওর কোন আক্ষেপ ছিল না। এটাই ছিল সৌরভের বৈশিষ্ট্য।’