পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
১) বাড়িতে স্ট্যাটিক সাইকেল থাকলে দিনে ১৫-২০ মিনিট তা চালান। এই সময়ে হাফ থেকে এক লিটার জল পান করা প্রয়োজন। আর স্ট্যাটিক সাইকেল না থাকলে ঘাবড়াবেন না। ঘরের মধ্যে বা ছাদে হাল্কা জগিং করলেও একই লাভ হবে।
২) এই সময়ে ফুটবলারদের প্রতিদিনই হাল্কা স্ট্রেচিং করা উচিত। এতে কাফ মাসল শক্ত হবে না। দেহের অস্থিসন্ধিগুলির পাশাপাশি শরীরের নীচের অংশও সচল থাকবে। এড়ানো যাবে হ্যামস্ট্রিং সমস্যাও। কোমরের পেশির সঞ্চালনও হবে।
৩) সকালে কিংবা বিকেলে নিয়ন্ত্রিত পুশ-আপ করুন। শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
৪) বাড়িতে ডাম্বেল থাকলে তা নিয়ে প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট শরীরচর্চা করতে পারেন। ডাম্বেল না থাকলে চিন্তার কিছু নেই। এক কিংবা দুই লিটার জলের বোতল বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৫) বাড়িতে মেঝেতে কোনও মোটা কাপড় বিছিয়ে শুয়ে পড়ুন। সেরে ফেলুন পরিচিত ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ। তবে দম নেওয়া ও ছাড়ার ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।
৬) হাঁটুতে কোনও চোট না থাকলে মিনিট পাঁচেক সিঁড়ি ভাঙা যেতেই পারে। অসুবিধা হলে প্রথম কয়েকদিন দু’মিনিট করুন। পরে সময় বাড়ান।
৭) নিয়মিত স্কিপিং করতে পারেন। বাড়িতে ছাদ বা ব্যালকনি থাকলে বিকেলের দিকে ছোট আকারে স্পট জাম্প প্র্যাকটিস করলেও লাভবান হবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, এই প্র্যাকটিসের কারণে বাড়িতে থাকা বয়স্ক ব্যক্তিদের যেন কোনও অসুবিধা হবে না।
৮) পেটের জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়ামগুলি ঝালিয়ে নিন। এই সময়ে ঠিকমতো ওয়ার্ক আউট না হওয়ায় শরীরে, বিশেষত পেটে মেদ জমতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে যোগাসন করতে হবে নিয়মিত।
৯) শরীরচর্চার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর রাখা আবশ্যক। গরম পড়ছে। প্রতিদিন ৪-৫ লিটার জল পান করতে হবে। খেতে হবে ফলও। আপেল কিংবা বেদানা খুবই উপকারী। তবে এই দু’টি ফলের দাম বেশি। তাই পরিবর্ত হিসেবে ন্যাসপাতি খেতে পারেন। আর পাতিলেবুর শরবত পান করতে ভুলবেন না। এই সময়ে ভিটামিন সি’এর মাত্রা বজায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে লেবুর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
১০) নিয়মিত শাকসব্জি খান। দিনে ৩০০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করতে পারলে খুবই ভালো।
এই দশটি পরামর্শ মেনে চললে লকডাউন ওঠার পর প্রি-সিজন প্র্যাকটিসে সমস্যায় পড়তে হবে না।