ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
নিজের বক্তব্যকে খাড়া করতে গিয়ে ক্লার্ক আরও বলেছেন, ‘সুনাম বা দুর্নাম যাই বলুন, স্লেজিংয়ের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। আমাদের সময় স্লেজিং ছিল অন্যতম একটা অস্ত্র। কত ঘটনা মনে পড়ে। এই ব্যাপারে অনেকেই আমাদের সমালোচনা করে থাকেন। যদিও স্লেজ খেলারই অঙ্গ। আগের মতো এখন আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের স্লেজ করতে দেখি না। অন্য দলের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে স্লেজিংয়ে ব্যস্ত থাকে অস্ট্রেলিয়া দল। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামলেই কেমন যেন গুটিয়ে যায় আমাদের ছেলেরা। অনেক চিন্তাভাবনার পর ব্যাপারটা আমি গভীরে গিয়ে অনুধাবন করতে পেরেছি। মনে হয়েছে, আইপিএলের লোভনীয় চুক্তি এর অন্যতম কারণ। তাই অন্য দলগুলোর বিরুদ্ধে অজি ক্রিকেটাররা অল্পবিস্তর স্লেজ করলেও, ভারতের বিরুদ্ধে শান্তই থাকে ওরা। আইপিএলের সুবাদে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রচুর উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনেও হবে। এই লিগের জন্য সারা মরশুম জুড়ে ভারতীয় দল বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। আইপিএলে খেলার কথা ভেবে বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররা কোহলি ও তার দলের ক্রিকেটারদের বিরক্ত করতে চায় না। অজি ক্রিকেটাররাও মনে করে, ভারতের বিরুদ্ধে খুব বেশি স্লেজ করলে আইপিএলের চুক্তির ক্ষেত্রে তার বড় প্রভাব পড়বে। সত্যি বলতে কি, আইপিএলের মতো জনপ্রিয় ও আর্থিকভাবে সচ্ছল টুর্নামেন্টে সবাই খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। বিশেষ করে মার্চ-এপ্রিল মাসের আগে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ হলে সেখানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের স্লেজ করতে একেবারেই দেখা যায় না। আমরা সবাই জানি যে, বিশ্বের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড হলে বিসিসিআই। অস্ট্রেলিয়া সহ অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডও সেই কারণেই হয়তো বিসিসিআইকে তোষামোদ করে চলে।’
মাইকেল ক্লার্কও অতীতে আইপিএলে খেলেছেন। বর্তমানে তাঁর দেশের বহু ক্রিকেটার এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত। গত ডিসেম্বরে নিলামে ১৫.৫ কোটি টাকা দিয়ে প্যাট কামিন্সকে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ব্যাপারেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি ক্লার্ক। তিনি বলেছেন, ‘সব ক্রিকেটারের মাথায় ঘোরে, এপ্রিল মাসে আইপিএল খেলতে ভারতে যেতে হবে। আর নিলামে নাম থাকলে তো আর কথাই নেই। অনেকেরই ধারণা, বিরাটকে স্লেজ না করলে ওর দলে সুযোগ পাওয়া যাবে। তাই তারা মাঠে নেমে কোহলিকে বিন্দুমাত্র বিরক্ত করে না। এটাই আমাকে অবাক করছে। আমাদের সময়েও আইপিএল হয়েছে। কিন্তু এভাবে আমরা নিজেদের বিকিয়ে দিইনি। সবাই এখন আর্থিক শক্তির কাছে মাথা নত করছে।’ উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে ত্রয়োদশ আইপিএলের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। ২৯ মার্চ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। করোনার দাপট না কমলে এই বছর আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।