ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান হওয়ার পাশাপাশি দিলীপ বেঙ্গসরকর ভারতীয় বোর্ডের ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ উইংয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সুবাদে অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব -১৯ পর্যায়ের বহু ম্যাচে তিনি বিরাট কোহলির খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি তিনি। তার প্রমাণ এখন পাওয়া যাচ্ছে। বিরাট কোহলিকে ভারতীয় দলের না নেওয়ার জন্য কি কেউ কখনও তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল? দিলীপের সাফ জবাব, ‘এই ধরনের কথা বলার সাহস আমাকে কারও ছিল না। আমি শুধুমাত্র প্রতিভা ও সাফল্য দেখে দল নির্বাচন করতাম। সেই একই নিয়মে বিরাট কোহলিও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। অনেক সময় প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা সময়-সুযোগ ও সাপোর্টের অভাবে হারিয়ে যায়। বিরাটের ক্ষেত্রে আমি তেমনটা হতে দিইনি। আমার পক্ষ থেকে ওকে যতটা সম্ভব সাহায্য করার ছিল করেছি।’ কখনও কি ভেবেছিলেন, কোহলি ভারতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে খেলবেন? মুচকি হেসে তাঁর জবাব, ‘এমনটা দাবি করবো না। কেউ কি বলতে পারে যে একজন ক্রিকেটার এত বছর দেশকে সার্ভিস দেবে। বিরাটকে নিয়ে আমার সেরকম কোনও চিন্তাভাবনা ছিল না। তবে অসীম প্রতিভাধর ছিল ছেলেটা। আমি জানতাম, ও অনেক দূর যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। বিশেষ প্রতিভাধর ক্রিকেটাররাই সফল হয়। কোহলি তাদের মধ্যে অন্যতম।’ এরপর বর্তমান নির্বাচন কমিটির উদ্দেশ্যে বেঙ্গসরকরের বার্তা, ‘ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে সেরা খেলোয়াড়দের তুলে ধরা। সঠিক সময়ে সুযোগ দেওয়া জরুরি।’
বেঙ্গসরকরের সময়েই মহেন্দ্র সিং ধোনি ২১ বছর বয়সেও ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ উইংয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বেঙ্গসরকর বলেন, ‘বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক প্রকাশ পোদ্দারকে আমি জামশেদপুরে একটা ম্যাচ দেখতে পাঠিয়েছিলাম। খেলাটা হচ্ছিলো কিনান স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে। কিনানে তখন রনজি ওয়ান ডে ম্যাচ চলছিল। একটার পর একটা বল স্টেডিয়াম টপকে পাশের মাঠে এসে পড়ছিল। যা দেখে পোদ্দারের মনে কৌতূহল তৈরি হয়। ও জানতে পারে, একটা ছেলে বিশাল বিশাল ছক্কা মারছে। তার নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। পোদ্দারই আমাকে বলেছিল যে ধোনিকে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ উইংয়ে নেওয়ার জন্য। আমি তখন বলেছিলাম যে, ধোনির বয়স ১৯ পেরিয়ে গিয়েছে। তখন প্রকাশ একটা খুব ভালো কথা বলেছিল, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের পথের নিয়ম কখনোই বাঁধাধরা ছকে এগোয় না। তারপর সম্মতি দিতে আমি আর দেরি করিনি।’
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কড়া সমালোচনা করেছেন বেঙ্গসরকার। তিনি বলেছেন, ‘এনসিএ একটা সময় খুব ভালো কাজ করতো। এখন ওটা রিহ্যাব সেন্টারে পরিণত হয়েছে। জগমোহন ডালমিয়ার মতো ক্রিকেট প্রশাসক আমি খুব কম দেখেছি। নতুন নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার ক্ষেত্রে উনি উৎসাহ দিতেন। ডালমিয়ার নেতৃত্বে কাজ করতে তাই কখনও কোনও সমস্যা আমার হয়নি।’