কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রেকর্ড পরিমান ২২২ মিলিয়ন ইউরোয় বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি’তে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। সেখানে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮০ ম্যাচে ৬৯টি গোল করেছেন তিনি। মূলত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে নিজেকে এককভাবে মেলে ধরার স্বপ্ন নিয়েই বার্সা ছেড়েছিলেন নেইমার। যদিও ফরাসি ক্লাবটির হয়ে গত দু’বছরে প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। কখনও চোট আঘাত, তো কখনও মাঠে ও মাঠের বাইরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এই সব কিছু মাথায় রেখেই জিকো বলছেন, নেইমারকে আরও বেশি পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে।
সম্প্রতি ইতালিয়ান সাংবাদ সংস্থা লা গাজ্জেত্তা দেল্লো স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘সাদা পেলে’ খ্যাত জিকো বলেছেন, ‘আমি নেইমারকে খুবই পছন্দ করি। যেভাবে সে খেলে, তা অবিশ্বাস্য। কিন্তু ওকে আরও বেশি পেশাদার হতে হবে। ঠিক যেমনটা মেসি ও রোনাল্ডোর মধ্যে আমরা দেখতে পাই। যারা স্রেফ ফুটবলকে আঁকড়ে বেঁচে রয়েছে। আমরা যদি পরিসংখ্যানের দিক থেকে বিচার করি, তাহলে দেখব মেসি ও রোনাল্ডো মিলে ১১ টি ব্যালন ডি’অর জিতেছে। সেখানে নেইমারের মাথায় এখনও একবারের জন্য সেরার মুকুট ওঠেনি। এর মূল কারণ হল ওর বিক্ষিপ্ত মন। কয়েক দিন আগে আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি এবং ওকে আরও বেশি পেশাদারি মনোভাব দেখানোর পরামর্শও দিয়েছি।’
একই সঙ্গে পিএসজিকে যদি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে হয়, তাহলে নেইমারকেই বড় ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন ৬৭ বছর বয়সি জিকো। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নেইমারের বয়স ২৮ বছর। পিএসজির মতো একটা ভালো দলে সে খেলছে। তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিততে পারে। তবে তার জন্য নেইমারকেই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। কেবলমাত্র একটা ম্যাচে নয়, গোটা টুর্নামেন্টে ওকে ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।’
বর্তমানে করনো ভাইরাসের জন্য নিজেকে পুরোপুরি গৃহবন্দি রেখেছেন নেইমার। যদিও এখানেও তাঁকে বির্তক পিছু ছাড়েনি। লকডাউনের মধ্যেই বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে খেলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে তারপর থেকেই পুরোপুরি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন ব্রাজিলের এই ওয়ান্ডার বয়।