ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
ওলিম্পিকসের বক্সিং ইভেন্ট থেকে ভারতকে প্রথম পদক এনে দেওয়া বিজেন্দর এখন দিল্লির বাড়িতেই রয়েছেন। লকডাউনের জেরে গৃহবন্দি। বাড়িতেই করছেন ওয়ার্কআউট। ‘বিজু’ বলেন, ‘ভেবেছিলাম মে মাসে আবার লড়াই শুরু করব। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। করোনার জেরে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এটা মেনে নিতে হবে। আশা করছি, করোনা সঙ্কট দ্রুত কেটে যাবে। আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে গোটা বিশ্ব। এ বছরের শেষ দিকে আবার রিংয়ে নামতে পারবো বলেই আমার বিশ্বাস। সেই আশাতইে নিজেকে প্রস্তুত রাখছি।’ভারতের প্রথম সফল পেশাদার বক্সার বিজেন্দর নতুন প্রজন্মকে পেশাদার বক্সিং আসার সাহস ও স্বপ্ন দেখিয়েছেন। টানা ১২টি পেশাদার বাউটে তিনি অপরাজিত রয়েছেন। পেশাদার বক্সিংয়ে তাঁর প্রোমোটারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বিজেন্দর। ৩৪ বছর বয়সী এই বক্সার ইংল্যান্ডে ট্রেনিং নেন কিংবদন্তি প্রশিক্ষক লি বিয়াডের কাছে। লি থাকেন ম্যাঞ্চেস্টারে। তাঁর পরামর্শ মেনে বাড়িতেই ট্রেনিং করছেন বিজেন্দর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউনে ঘরের বাইরে বেরোনোর কোনও প্রশ্ন নেই। আমার বাড়িতেই যাবতীয় ট্রেনিংয়ের সুবিধা রয়েছে। তবে ইংল্যান্ডে আমি আরও উন্নতমানের ট্রেনিং করি। কিন্তু এখানে তো তা সম্ভব নয়। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নিজেকে যথাসম্ভব ফিট রাখার।’
গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন। রাজনীতির কারণেই ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ওপরও নজর রাখছেন বিজেন্দর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে করোনা টেস্ট করা উচিত। বহু মানুষ কষ্টে রয়েছেন। তাদের পাশেও দাঁড়ানো দরকার। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে তাদের সঙ্গে দেখা করে কিভাবে সাহায্য করবো? বাড়ি থেকেই এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কারও কিছু প্রয়োজন হলে বাড়িতে থেকেই তার ব্যবস্থা করছি।’