বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রিয়াল কাশ্মীরের অন্যতম মালিক সন্দীপ ছাত্তুর হোটেলের ব্যবসা রয়েছে শ্রীনগরে। করোনার জেরে সেখানেই বন্দি রয়েছে কোচ ডেভিডের পরিবার। দলের কর্ণধার বলছিলেন, ‘আমরা নিয়মিত জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে স্কটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সমস্যা হল, শ্রীনগর থেকে স্কটল্যান্ড যাওয়ার সরাসরি কোনও ফ্লাইট নেই। কানেক্টিং বিমান ধরতে হলে দিল্লি, মুম্বই কিংবা চেন্নাই যেতে হবে। শ্রীনগরের কাছাকাছি দিল্লি বিমানবন্দর। আমরা ভেবেছিলাম সড়কপথে ডেভিডের পরিবারকে দিল্লিতে পাঠাবো। কিন্তু লকডাউনের ফলে সমস্ত বর্ডার বন্ধ রয়েছে। তাই বিদেশি প্লেয়ার এবং কোচেদের বাড়ি পাঠানোর কোনও সমাধান সূত্র এখনও মেলেনি।’
রিয়ালের অন্যান্য বিদেশি প্লেয়ারের তলিকায় রয়েছেন অধিনায়ক লাভডে, অ্যারন, ক্রিজো, বাজিরাও শ্রীনগরে গৃহবন্দি। দলের মালিক সন্দীপ ছাত্তু বলছেন, ‘আমার বাড়ি জম্মুতেই। কিন্তু এই বিপদে দলের সদস্যদের ফেলে কিভাবে বাড়ি যাই! অগত্যা প্লেয়ারদের সঙ্গে আমিও শ্রীনগরে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোচ রবার্টসনের কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে। এই সময় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকা খুব প্রয়োজন। কিন্তু কিছুই করা যাচ্ছে না। ডেভিড নিজেও পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। তবু আমরা সমস্যা সমাধানের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
২০১৭ সালে রিয়াল কাশ্মীরের কোচের পদে যোগ দেন ডেভিড রবার্টসন। তাঁর কোচিংয়েই আই লিগের এলিট ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে কাশ্মীরের দলটি। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে হঠাৎ আই লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রিয়াল কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। যদি পুনরায় লিগ শুরু হয় তাহলে তাদের রানার্স হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ফলাফলের ভাবনা ভুলে রিয়াল কাশ্মীর কর্তাদের এখন একটাই লক্ষ্য, বিদেশি কোচিং স্টাফ ও প্লেয়ারদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা।