নয়াদিল্লি, ৩ এপ্রিল: ত্রয়োদশ আইপিএল-র ভবিষ্যৎ কি তা কেউ জানে না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে লকডাউন চলবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই। তখন অবশ্য এই ভয়াবহতা দেখা যায়নি। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত। ভারতের সংখ্যাটা প্রত্যেক দিন বাড়ছে। গোটা দেশে যা অবস্থা, তাতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী তিন-চার মাস ভারতে আইপিএল করা সম্ভব হবে না। কারণ, করোনায় যারা আক্রান্ত,তাদের সেরে উঠতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তাই এবছর আইপিএল হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা ক্রিকেটার সুরেশ রায়না অবশ্য এই মুহূর্তে আইপিএল নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তার কথায়, ‘আগে মানুষের জীবন, তারপর আইপিএল। করোনার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকাটাই এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হোক। তারপর না হয় আইপিএল নিয়ে ভাবা যাবে। প্রত্যেকদিনই মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। আপাতত সেই অসহায় মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগেই সামিল হয়েছেন রায়না। করোনায় মোকাবিলায় গঠিত ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যে তিনি ৫২ লক্ষ টাকা দান করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। রায়না বলেন, ‘লকডাউনের অনেকটা সময় ইতিমধ্যেই আমরা পেরিয়ে এসেছি। অপেক্ষা মাত্র কয়েকটা দিনের। ধৈর্য ধরুন। বাড়িতে থাকুন। আমার মত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আমি বেশিরভাগ সময় সদ্যোজাত পুত্রের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। স্ত্রীকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছি।’
এদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা পেসার প্যাট কামিন্স আশা করছেন, দেরিতে হলেও এবছর আইপিএল হবে।