গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ধানবাদের ঝরিয়া অঞ্চলে থাকেন নাদিম। লকডাউনে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। তার মধ্যে আছে শাহবাজের এলাকাও। চরম বিপদের সময় দীন দরিদ্রের সেবায় রাস্তায় নেমে পড়েছেন তিনি। নাদিম ঠিক করেছেন, তাঁর এলাকার মোট সাড়ে তিনশো পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করবেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, কাঁচা সবজি ও চিনি। এই প্রসঙ্গে নাদিম বলেন, আপাতত আমার এলাকার দেড়শোটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। আরও দুশো পরিবারকে এই সাহায্য দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ধোনির রাজ্যের এই ক্রিকেটার অসামান্য মানবিকতার নিদর্শন রেখেছেন।
গতবছর ভারতের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ৩০ বছর বয়সী নাদিমের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১৬ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে যে তৃপ্তি তিনি পাননি, সেটাই এখন অনুভব করেছেন জনসেবার মাধ্যমে। দুঃসময়ে অভাবি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাকে জীবনের সেরা অধ্যায় বলে মনে করছেন নাদিম। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্বের জনজীবন প্রায় থেমে গিয়েছে। ভেস্তে গিয়েছে যাবতীয় স্পোর্টিং ইভেন্ট। এ বছর আইপিএলও হওয়ার সম্ভানা নেই। তবু মন খারাপ করতে নারাজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই স্পিনারটি। তিনি বলেন, ‘যখন যেমন সময় আসবে সেভাবেই চলতে হবে। খেলার চেয়েও মানুষের জীবনরক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন খেলাধুলা সংক্রান্ত ভাবনা সরিয়ে জনসেবার কাজটি মন দিয়ে করছি। এর মধ্যে খঁজে পেয়েছি জীবনের পরতম তৃপ্তি।’
গৃহবন্দি অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজেকে ফিট রাখতে জিম সেশনে জোর দিয়েছেন নাদিম। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে সুস্থ ও নিরাপদ থাকাটা ভীষণ জরুরি। আইপিএল আবার হবে। আপাতত আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী করোনা ভাইরাস। এর বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততেই হবে। এর মধ্যে অবশ্য নিজের ফিটনেস ট্রেনিংটা চালিয়ে যাচ্ছি। আবার যখন ক্রিকেট মরশুম শুরু হবে, তখন যাতে ফিটনেস সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই কারণে নিয়মিত জিম করছি।’