রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পাহাড়ি এই মহিলা ফুটবলার জানিয়েছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুটি বিষয়ের উপর ভীষণভাবে জোর দিচ্ছে। বিপজ্জনক করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে বারবার হাত ধোয়ার কথা বলছে তারা। একইসঙ্গে একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনার মোকাবিলা করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা দরকার। ফুটবলের মতোই এটা একটা টিম গেম। আসুন, আমরা সকলে একত্র হয়ে করোনা ভাইরাসের মতো কঠিন প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করি। এশিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আমাদের একটাই বার্তা, এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ঘরে থাকুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অপরকেও সুস্থ রাখুন। মানুষ বাঁচলেই সবকিছু বাঁচবে। গোটা বিশ্ব সঠিক পথে এগিয়ে চলবে। এমন একটা সময় সবাই এই ক্ষুদ্র আত্মত্যাগ করুন। ভবিষ্যতের জন্য তা খুবই মঙ্গলজনক হবে।’ উল্লেখ্য, বালা দেবী ভারতের প্রথম মহিলা ফুটবলার, যিনি ইউরোপের প্রথম সারির লিগে খেলেছেন। কয়েক মাস আগেই স্কটিশ প্রিমিয়ার সাইড রেঞ্জার্স ডব্লুএফসি’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর আগে বাইচুং ভুটিয়া ইংল্যান্ডের বারি এফসি এবং সুনীল ছেত্রী মেজর সকার লিগের ক্লাব কানসাস সিটির হয়ে খেলেছেন।
এদিকে, সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা এআইএফএফ বুধবার প্রধানমন্ত্রী কেয়ারস ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা সাহায্য করল। সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী কেয়ারস ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা সাহায্য করেছে ফেডারেশন। এই মহৎ কর্মকাণ্ডে সামিল হতে পেরে আমরা ধন্য।’ এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল বলেন, ‘এতদিন আমরা দেশের জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে এসেছি। আজ এই দুঃসময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের কর্তব্য।’ এআইএফএফের দিল্লির সদর দপ্তর ফুটবল হাউসে গত ১৪ মার্চ থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে করোনার কারণে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও চিন্তাভাবনা করতে নারাজ ফেডারেশন কর্তারা। যার ফলে আই লিগের ভবিষ্যৎ নিয়েও সরকারিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারছে না এআইএফএফ। এই এবস্থায় ভারতে থাকা বিদেশি কোচ ও ফুটবলাররা নিজেদের দেশে যেতে পারছেন না। চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন কিবু ভিকুনা, বেইতিয়ারা।