গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে মজার বিষয় হলো, ওই ওয়ালেট নিয়ে চোর সোজা পৌঁছে যায় স্থানীয় ম্যাকডোনাল্ড রেস্তোঁরার কাউন্টারে। কিন্তু উদরপূর্তির আগেই পেইনের কাছে চুরি যাওয়া ওয়ালেটের খবর পৌঁছে যায়। ৩৫ বছর বয়সি অজি অধিনায়ক পেইন জানিয়েছেন, ‘ব্যাংকের ফোন পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। আমাকে জানানো হয়, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে, সন্দেহজনক ট্রানজেকশন করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে দেখি গাড়ির দরজা খোলা। ওয়ালেট ও বেশ কিছু জিনিসপত্র নেই। তখনই বুঝতে পারি এসব কীর্তি কোনও চোরেরই হবে। অনলাইনে অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখি আমার ওয়ালেট থেকে ম্যাকডোনাল্ডে কিছু খাবার কেনা হয়েছে। তখন খুব হাসি পাচ্ছিল। মনে মনে ভাবছিলাম চোরের নিশ্চয়ই প্রচণ্ড খিদে পেয়েছিল। তাই ওয়ালেট চুরি করে সঙ্গে সঙ্গে সে দৌড়ে গেছে ম্যাকডোনাল্ডে খাবার খাওয়ার জন্য। আসলে গোটা দেশে লকডাউনের জেরে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই আধপেটা খেয়ে জীবন যাপন করছেন। আমার মনে হয়েছে, তেমনই এক ক্ষুধার্ত আমার গাড়ির দরজা খুলে ওয়ালেট নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমি খুশি হয়েছি যে, চোর ওই ওয়ালেট দিয়ে খাবার কিনে খেয়েছে বলে।’
করোনাভাইরাসের জেরে ক্রিকেট পুরোপুরি বন্ধ। তাই নিজেকে ফিট রাখতে গ্যারেজে তিনি বানিয়ে নিয়েছেন প্র্যাকটিসের জায়গা। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেছেন, ‘কোকাবুরা কোম্পানি আমাকে বেশ কিছু বল প্র্যাকটিসের জন্য পাঠিয়েছে। আমি সেগুলো নিয়ে এখন গ্যারেজে কভার ড্রাইভ প্র্যাকটিস করছি। আমাদের তৈরি থাকতে হবে। যাতে ফের ক্রিকেট শুরু হলে মানিয়ে নিতে সমস্যা না হয়। শুধু আমি নই। দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই নিজের নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করছে।’
এদিকে স্টিভ স্মিথের অধিনায়কত্বের ওপর দু’বছরের নির্বাসন গত রবিবারই শেষ হয়েছে। জোর জল্পনা চলছে স্মিথকে ফের টেস্ট দলে নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে। এই প্রসঙ্গে পেইন বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি স্মিথকে যতটা সম্ভব সম্মানের সঙ্গে সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অতীতে আমিও ওর নেতৃত্বে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ও খুব ভালো অধিনায়ক। আমি বিশ্বাস করি, ও যদি আবার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট উপকৃত হবে। ওর তুখোড় ক্রিকেট বুদ্ধি অতীতে আমাদের বহু সাফল্য এনে দিয়েছে। সময় ও সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই আবার অধিনায়ক হিসেবে সেই সাফল্য ছোঁয়ার চেষ্টা করবে। তবে আমি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে গর্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছি। আরও কিছুদিন এই দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছে আছে। যদি বোর্ড আমার ওপর ভরসা রাখে।’
সারাবছর ক্রিকেট ব্যস্ত থাকেন পেইন। এখন লকডাউন চলছে দেশে। সকাল-বিকেল জিম করার পাশাপাশি অধিকাংশ সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে অতিবাহিত করছেন বলে জানিয়েছেন পেইন।