লন্ডন, ২৭ মার্চ: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আর্থিক মন্দার মুখোমুখি বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় ইংল্যান্ডের ফুটবলও। আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি প্রিমিয়ার লিগ। ক্লাবকর্মীদেরও চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা প্রবল। সবাই জানতে চাইছেন, কোভিড-১৯’এর প্রভাব থেকে কবে মুক্ত হওয়া সম্ভব? আপাতত ইংল্যান্ডেও অচলাবস্থা চলছে। ফুটবলারদের বেতন সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলি আগামী ৩ এপ্রিল বৈঠকে বসবে। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক হল ইপিএল বন্ধ হয়ে গিয়েছে করোনার প্রভাবে। ক্লাবগুলির মূল আয়ের বড় অংশ আসে টিভি স্বত্ব থেকে। কিন্তু লিগ স্থগিত হওয়ায় তা এখন বিশ বাঁও জলে। দুই ম্যাঞ্চেস্টার, লিভারপুল, চেলসির মতো নামী ক্লাবগুলি ৭৫ কোটি পাউন্ড আয় করে টিভি স্বত্ব থেকেই। তাই এখন তারা কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেন তা দেখার বিষয়। শোনা যাচ্ছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি টিমের খরচের বোঝাও কমানোর কথা ভাবছে ক্লাবগুলি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলি তাদের ফুটবলারদের বাকি মরসুমের পঞ্চাশ শতাংশ বেতন স্থগিত রাখতে বাধ্য হবে। ইতিমধ্যেই বার্মিংহাম সিটি তাদের খেলোয়াড়দের ৫০ শতাংশ বেতন আটকে দিয়েছে। লিডসের মালিক আন্দ্রেয়া রাদ্রিজানি বলেছেন, ‘পাঁচটা হোম ম্যাচ হয়নি। যা হলে ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড রোজগার হত। তাই আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি আমরা।’ লিডসের মালিক আন্দ্রেয়া রাদ্রিজানি বলেছেন, ‘পাঁচটা হোম ম্যাচ হয়নি। ওই ম্যাচগুলো হলে ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড রোজগার হত ক্লাবের। যা না হওয়ায় কিছুটা হলেও আর্থিক ভারসাম্য নষ্ট করেছে ক্লাবের।’
প্রিমিয়ার লিগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ও পেশাদার ফুটবল সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে যৌথভাবে আর্থিক সমস্যার সুরাহা করতে হবে। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে ৩০এপ্রিল ইংলিশ ফুটবল আবার শুরু হওয়ার কথা। আগামী সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগ পেশাদার ফুটবল সংস্থা ও সমস্ত ইংলিশ ফুটবল ক্লাবের প্রতিনিধিরা একটি বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানেই ঠিক হবে আগামীর রূপরেখা।