খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ভেন্যু, নিরাপত্তা, টিকিট, বাসস্থান-- কার্যত সব কিছু নিয়েই নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে জাপানকে। এর ফলে একশোভাগ প্রস্তুত থাকা দেশটির ব্যয়ভারও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তবু হতাশা ও নেতিবাচক বিষয়গুলিকে দূরে সরিয়ে রেখে বুধবার থেকেই ফের নতুন প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আয়োজকরা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, ‘করোনার ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখেই যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা ভেঙে পড়ছি না। বুধবারই শুরু হয়ে গিয়েছে আগামী বছরের গেমসের জন্য নতুন ব্লু-প্রিন্ট তৈরি।’ জাপান সব সময় বলে আসছিল এই টোকিও গেমস হবে তাদের জন্য ‘রিকভারি গেমস’। বিশ্বকে তারা দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল তিনটি বড় দুর্যোগ থেকে তারা কিভাবে বেরিয়ে এসেছে। ভূমিকম্প, সুনামি ও ফুকুশিমা নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ও তাদের অগ্রগতিকে দমাতে পারেনি। নিজেদের উপর সেই বিশ্বাসে ভর করেই শিনজো আবে আরও বলেছেন, ‘কঠিন মুহূর্ত পেরিয়ে আগামী বছরের ওলিম্পিক গেমস হয়ে উঠবে বিশ্ববাসীর কাছে নতুন আশার আলো’
ওলিম্পিকস পিছিয়ে যাওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে গেমসের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ সকলের আর্জি জানিয়েছেন, ‘ত্যাগ ও আপোস’ স্বীকারের জন্য। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২০২০ টোকিও ওলিম্পিক গেমস পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। জানি, এর জন্য কী ভীষণ লোকসানটাই হবে। তবু করোনা ভাইরাস ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমরা সেই কঠিন পথেই হেঁটেছি। মানুষের জীবন রক্ষার বিষয়টাই আমাদের আলোচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। আশা করি, আইওসি-র সিদ্ধান্তকে মর্যাদা জানিয়ে গেমসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রত্যেক সংস্থা এই ত্যাগ ও আপোস স্বীকার করে নেবেন।’
ওলিম্পিক্সের পাশাপাশি পিছিয়ে গিয়েছে প্যারালিম্পিক্সও। আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু পার্সনস বলেছেন, ‘পিছিয়ে দেওয়াটাই একমাত্র রাস্তা ছিল। মানুষের স্বাস্থ্যই সবার আগে। এই মহামারীর মধ্যে ওলিম্পিক্সকস হওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না। মানুষের জীবনের চেয়ে খেলা কখনও বড় নয়। এখন সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা।’