পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
‘আমি কোনও দলকে টি-২০ ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দিয়ে বিচার করব না। কারণ এই ফরম্যাট দিয়ে কোনো একটা দলের খারাপ, ভালো বিচার করা সম্ভব নয়। এটা আসলে ফান গেম। এই সময়ে টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে বেশি মাতামাতি হচ্ছে। কারণ এই খেলা দেখতে দর্শকরা মাঠে যাচ্ছে আর বোর্ড অর্থ কামাচ্ছে’, বললেন দোশি। তবে ক্রিকেটের দৃষ্টিতে দেখলে বোঝা যাবে, টি-২০ কীভাবে ব্যাটিং ও স্পিন বোলিংয়ের টেকনিকের বিপর্যয় ডেকে আনছে’, মন্তব্য দোশির। পাশাপাশি তিনি বললেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্রিকেটারকে ওডিআই এবং টেস্ট দলে নেওয়া হচ্ছে টি-২০’র পারফরম্যান্স দেখে। এটা ঠিক নয়। টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সামঞ্জস্য রাখতে হয়। কিন্তু কে আর কথা শোনে? আমাদের দেশে সিস্টেমটাই ভেঙে গিয়েছে। এখন মুড়ি-মিছরির দাম এক। শর্ট কার্ট মেথড অবলম্বন করে সবাই সাফল্য পেতে চাইছে। সেই কারণেই ভারতীয় দল সম্প্রতি বিদেশে গেলে টেস্ট ফরম্যাটে মুখ থুবড়ে পড়ছে। মুভিং বলে আমাদের ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হচ্ছে। ফ্রন্টফুট মুভমেন্ট হচ্ছে না। ফলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শট খেলে উইকেট ছুঁড়ে দিতে হচ্ছে। এর কারণ অত্যাধিক টি-২০ খেলা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচের তেমন কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না দিলীপ দোশি। তাঁর কথায়, ‘কোচের কাজ তৃণমূল স্তরে। একজন ক্রিকেটার তৈরি করতে কোচের বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যারা খেলতে আসে তারা তৈরি হয়েই আসে। আর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কীভাবে পারফর্ম করতে হবে তা খেলোয়াড়টির জানা দরকার। আমার মনে হয়, কোচের থেকে ম্যানেজারের প্রয়োজন বেশি। এরজন্য পেশাদার সিইও নিয়োগ করাই যেতে পারে। কিন্তু একাধিক সাপোর্ট স্টাফ রাখার ট্রেন্ড চলছে এখন। এটাও ভুল। এতে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হচ্ছে। আমাদের সময় বোলিং অ্যানালিস্ট ছিল না। তা সত্ত্বেও ভালো বল করেছি। আসলে নিজের ভুল নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে।’ বাংলার প্রাক্তন স্পিনারটিকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতীয় দলে কি স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি চালু করা উচিত? দোশির চটজলদি জবাব, ‘কোনও দল এরকম করছে বলেই আমাকেও তা ফলো করতে হবে, এমন ধারণা ভুল। বিরাট তো ভালই নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর এই ব্যাপারটা পুরোপুরি নির্ভর করছে বিসিসিআই’এর উপর। তবে বিরাটকে দেখে মনে হয়, ও নেতৃত্ব উপভোগ করছে।’
নিউজিল্যান্ড সফরে ঋদ্ধিমান সাহাকে বসিয়ে খেলানো হয়েছিল ঋষভ পন্থকে। এদিন এই বিষয়ে দোশির বিশ্লেষণ, ‘এটা ঠিক হয়নি। দেশের সেরা উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান। ওকে কেন বাদ দেওয়া হল তা আমার মাথায় ঢোকেনি। ঋষভ হয়তো ঋদ্ধির থেকে ব্যাটসম্যান হিসেবে সামান্য এগিয়ে। কিন্তু কিপারের ভূমিকায় বঙ্গসন্তানটির ধারেকাছে আসবে ন পন্থ।’