বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মীরাবাঈ ইতিমধ্যেই টোকিও ওলিম্পিকসের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওলিম্পিকস স্থগিত হয়ে গেলে আমার ফোকাস নড়ে যাবে। পদক জেতার খিদেটাও আর থাকবে না। তাই আমি কখনওই চাই না, ওলিম্পিকস স্থগিত হয়ে যাক। সেক্ষেত্রে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। এখন আমি একটা রুটিনের মধ্যে দিয়ে এগচ্ছি। সেটা ওলোটপালোট হয়ে যাক, আমি চাই না।’ ওয়েটলিফটিংয়ের ওলিম্পিক বাছাই পর্ব করোনা আতঙ্কে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। ইতিমধ্যে পাঁচটি কন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে এশিয়া ইভেন্টও। মণিপুরের এই ভারোত্তোলক নিজের সেরা রেকর্ড ভেঙেই চলেছেন। এখন তাঁর লক্ষ্য নিজের সেরা পারফরম্যান্স ২০৩ কেজি (৮৮ কেজি + ১১৫ কেজি) টপকে যাওয়া। মীরাবাঈ চানু বলেন, ‘এশিয়ান ইভেন্টের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু সেটা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে আমার কাছে বড় স্বস্তি হল, ইতিমধ্যেই ওলিম্পিকসের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পারফরম্যান্স আরও ভালো মূল্যায়ণ করতে পারব।’
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু ঘোষণা করেন, ‘সব জাতীয় শিবির বন্ধ থাকছে। একমাত্র ওলিম্পিকসের জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাঁদের এই ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’ করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত মীরাবাঈও। তিনি বলছেন, ‘দেশের প্রায় সব স্পোর্টস ইনস্টিটিউট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। একমাত্র ওলিম্পিকসের জন্য অ্যাথলিটদের ট্রেনিং চলছে। ওয়েটলিফটিংয়ের একটা কোর গ্রুপ এখন ট্রেনিং নিচ্ছে। সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে করোনা নিয়ে আমরা যথেষ্ট শঙ্কিত। এত কিছুর পরেও ট্রেনিং নিয়মমাফিক করছি। প্র্যাকটিসের আগে ও পরে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিচ্ছি। কিভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা যায়, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকছি।’