দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
(ইসকো) (হেসাস, ডি ব্রুইন)
মাদ্রিদ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে তিনি এর আগেও একাধিকবার এসেছেন। ঘরের মাঠ না হলেও এই স্টেডিয়াম তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। পরিসংখ্যান অন্তত তারই সাক্ষ্য বহন করে। বুধবারও এই মাঠ থেকে জয় ও দু’টি অ্যাওয়ে গোল তুলে নিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ফিরলেন জোসেপ গুয়ার্দিওলা। এই নিয়ে ৯বার রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে এসে তিনি জয় পেয়েছেন হাফ ডজন ম্যাচে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে স্বস্তির হাসি মুখে পেপ বললেন, ‘পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্বে দু’টি গোল তুলে আমরা জয় ছিনিয়ে নিয়েছি। যা অবশ্যই তৃপ্তির। তবে শেষ আটে ওঠার কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফিরতি লেগে জিদানের দল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অবশ্যই করবে। তাই আমরা সতর্ক।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ম্যান সিটি ম্যাচের মুখ্য আকর্ষণ ছিল দুই কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। প্রথমার্ধে জিদান এবং পেপ, কেউই গোল পাওয়ার জন্য বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাননি। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজালেও রক্ষণ আগলানোই প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য ছিল দু’টি দলের। তা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে পরিকল্পিত ফুটবল উপহার দিয়েছে সিটি। ২১ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করা উচিত ছিল গ্যাব্রিয়েল হেসাসের। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান তারকাটির শট রুখে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক থিবাউট কুর্তোয়া। এই অর্ধে রিয়ালের সেরা সুযোগ ৩১ মিনিটে। মেন্ডির সেন্টার থেকে নেওয়া করিম বেনজেমার হেড আংশিক প্রতিহত করেন সিটি দুর্গপ্রহরী এডারসন। ফিরতি বল গোলে ঠেলে দেওয়ার আগে শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি ভিনিসিয়াস জুনিয়র। মাঝমাঠে ডি ব্রুইন-গুন্ডোগানদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মডরিচ-কাসেমিরোরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও খেলা সীমাবদ্ধ ছিল মাঝমাঠে। ৫৬ মিনিটে মাহরেজের প্রয়াস রুখে দেন কুর্তোয়া। এর মিনিট চারেক পরেই নিজেদের ভুলের খেসারত দেয় পেপ-ব্রিগেড। খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল তুলে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। নিকোলাস ওটামেন্ডি এবং কাইল ওয়াকারের ভুলে বল পেয়ে আক্রমণ তৈরি করেন ভিনিসিয়াস। তাঁর পাস থেকে গোল করতে ভুল হয়নি ইসকোর (১-০)। ২০১৭’র মে মাসের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বে এই প্রথম স্কোরশিটে নাম তুললেন স্প্যানিশ তারকাটি। লিড নেওয়ার পর ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে রিয়াল। সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ৭৩ মিনিটে বার্নাডো সিলভার পরিবর্তে গতিশীল রহিম স্টার্লিংকে নামানোই পেপের মাস্টার স্ট্রোক। পক্ষান্তরে ভিনিসিয়াসকে তুলে নিয়ে কোচ জিদান ব্যবহার করেন গ্যারেথ বেলকে। ৭৮ মিনিটে বাঁ দিক থেকে কেভিন ডি ব্রুইনের ভাসানো বলে গ্যাব্রিয়েল হেসাসের হেড জালে জড়ায় (১-১)। রিয়াল গোলরক্ষক কুর্তোয়া বলে হাত ছোঁয়ালেও শেষরক্ষা করতে ব্যর্থ। চার মিনিট পরেই গতি বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রহিম স্টার্লিং। তাঁকে ফাউল করা ছাড়া অন্য উপায় ছিল না কার্ভাহালের কাছে। রেফারি সঙ্গত কারণেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে দলের জয়সূচক গোল কেভিন ডি ব্রুইনের (২-১)। ৮৬ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসাসকে অবৈধ ফাউল করায় লাল কার্ড দেখতে হয় রিয়াল ডিফেন্ডার সের্গিও র্যামোসকে। ফলে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি পর্বে তিনি খেলতে পারবেন না। ম্যাচের পর রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিদান বলেন, ‘শেষপর্বে রক্ষণের ভুলের খেসারত দিতে হল।’