দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
প্র্যাকটিসের ফাঁকে কোচ অরুণ লালকে দেখা গেল একান্তে কথা বলছেন উইকেটরক্ষক শ্রীবৎস গোস্বামীর সঙ্গে। হাত নেড়ে তিনি কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে, রিভিউতে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে উইকেটরক্ষক-ক্যাপ্টেনের সমন্বয় থাকা খুবই জরুরি। কিন্তু রনজি ট্রফিতে ডিআরএস ব্যবহৃত হবে। তাও আবার আংশিকভাবে। থাকবে না হক আই, স্নিকোমিটার কিংবা আলট্রাএজ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ। তাই রনজি ট্রফিতে আংশিক ডিআরএস ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রতি ইনিংসে চারটি করে রিভিউ নেওয়া যাবে। ব্যবহৃত হবে ভার্চুয়াল পিচ ম্যাপ এবং স্লো মোশন ক্যামেরা। ডিআরএস ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলার ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ বলেছেন, ‘সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার হচ্ছে না ঠিকই, তবে কিছুক্ষেত্রে প্রযুক্তির সুবিধা পাওয়া যাবে।’ গত ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলার উইকেটরক্ষকটি বলেন, ‘গত ম্যাচে বল থাই প্যাডে লেগেছিল। তার পরেও আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। রিভিউ নেওয়ার সুযোগ থাকলে ওভাবে আউট হতাম না। তবে কিছু ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।’
দু’দিন বিশ্রামের পর ফের প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন বাংলার ক্রিকেটাররা। এবার মিশন কর্ণাটক। শনিবার ইডেনে শুরু হতে চলা রনজি ট্রফির সেমি-ফাইনালে দক্ষিণের রাজ্যটিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলার কোচ অরুণ লাল। কর্ণাটকের হয়ে এই ম্যাচে খেলবেন ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। যা নিয়ে তাঁরা মোটেও চিন্তিত নন বলে দাবি লালজির। ‘লোকেশ রাহুলকে নিয়ে হাইপ তুলছে মিডিয়া। ছেলেদের বলেছি, খোলা মনে খেলতে। কেউ কী ভেবেছিলেন, এবার রনজি ট্রফির সেমি-ফাইনালে উঠবে বাংলা? সেটা করে দেখিয়েছে মনোজ, অভিমন্যুরা। এটা টিম গেমের ফসল। বুক বাজিয়ে বলতে পারি, এই বাংলা দল সব হিসেব উল্টে দিতে পারে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যদি রান পায়, তাহলে আমরা কর্ণাটককে হারিয়ে ফাইনালে খেলবই’, কোচ অরুণ লালের মন্তব্যে আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠছিল।
বিগত কয়েক বছর ধরেই ইডেনের পিচে পেস ও বাউন্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। আকাশ দীপ ফিট হয়ে ওঠায় বাংলার পেস আক্রমণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু সমস্যাও বেড়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। আকাশ দীপকে খেলাতে হলে বাদ দিতে হবে নীলকণ্ঠ দাসকে। না হলে চার পেসার রাখতে হবে প্রথম একাদশে। সেক্ষেত্রে ব্যাটিং কিছুটা দুর্বল হবে।
এই মরশুমে রনজি ট্রফিতে রানের খরা চলছে অভিমন্যু ঈশ্বরণের ব্যাটে। বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসের শেষে টানা নকিং করলেন বাংলার ক্যাপ্টেন। কর্ণাটক ম্যাচে তিনি যদি বড় রান করতে পারেন, তাহলে বাংলার রনজি ট্রফির ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। তবে এই ম্যাচে বাড়তি নজর থাকবে মনোজ তিওয়ারির দিকে। কারণ, তিনি বড় ম্যাচের নায়ক। ২০০৭ সালে এই ইডেনেই রনজি সেমি-ফাইনালে কর্ণাটককে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল দীপ দাশগুপ্তর বাংলা। আর সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে মনোজ ১৫১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েছিলেন। স্মৃতির সরণি বেয়ে বাংলার তারকা ব্যাটসম্যানটি বললেন, ‘অনেক বছর আগের ঘটনা। তবে এই সব সাফল্য এরকম বড় ম্যাচের আগে মনকে আনন্দ দেয়, অনুপ্রেরণা জাগায়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলার অনুশীলনে বল হাতে মনোজের সঙ্গে শাহবাজ।