বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
পাঁচটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মধ্যে ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতে গোটা বিশ্বকে চমকে দেন শারাপোভা। ফাইনালে তিনি হারান সেই সময় শীর্ষ বাছাই সেরেনা উইলিয়ামসকে। তারপর ২০০৬ সালে ইউএস ওপেন, ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ফরাসি ওপেন খেতাব তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের ধনী মহিলা ক্রীড়াবিদদের তালিকার শীর্ষে বিরাজ করেছেন রাশিয়ান তারকা। কারণ, সেইসময় গ্ল্যামার ও টেনিসের অসাধারণ কম্বিনেশনকে সঙ্গী করে একের পর এক স্পনসর নিজের দিকে টেনে এনেছিলেন মাশা। তবে ডোপিং বিতর্ক জড়িয়ে পড়েই শারাপোভার টেনিস জীবনের প্রদীপ নিভতে শুরু করে। ওই ধাক্কা তিনি আর সামলে উঠতে পারেনি। তার সঙ্গে চোট-আঘাত তাঁকে অনেকটা পিছিয়ে দেয়। একটা সময় কোনওভাবেই পেশাদার টেনিসে নিজেকে আর মোটিভেট করতে পারছিলেন না শারাপোভা। ফলে কিছুটা ভারাক্রান্ত হৃদয়েই প্রিয় টেনিসকে বিদায় জানালেন তিনি।
২০১৬ সালে মেলডোনিয়াম নামক নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের দায়ে শারাপোভাকে দু’বছর নির্বাসিত হতে হয়। যদিও তিনি বারবার বলেছেন, তিনি এই ব্যাপারে নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। নির্বাসনের পরে কোর্টে ফিরলেও তাঁকে আর চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। গত ১৮ মাস ধরে কাঁধ ও বাহুর চোটে জেরবার হন শারাপোভা। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই শেষ টুর্নামেন্ট তাঁর। প্রথম রাউন্ডে মাশা হেরে যান ডোনা ভেকিচের কাছে। তারপরই শারাপোভা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, আর নয়। এবার র্যাকেট তুলে রাখার সময় এসে গিয়েছে।