গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিন দশক পর রনজি চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে বাংলার ক্রিকেটের পক্ষে তা দারুণ ইতিবাচক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রণব রায়। সেই প্রেরণা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আরও খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি অভিমন্যু ঈশ্বরণ, ঈশান পোড়েল, শাহবাজ আহমেদের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে ঢোকার দাবিও জোরাল হবে। এ কারণেই এবার রনজি ট্রফি জয় খুব দরকার বলে তাঁর অভিমত। দলের অধিনায়ক অভিমন্যুকে নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী প্রণব। তিনি মনে করেন, অভিমন্যুকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া দরকার। ও অফ-ফর্মে থাকা সত্ত্বেও বাংলা কিন্তু শেষ চারে উঠেছে। অভিমন্যু ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছে। জাতীয় নির্বাচকরা ওর ব্যাপারে আশাবাদী বলেই ওকে সুযোগ দিয়েছে। সেই সঙ্গে ঈশান পোড়েলকে নিয়েও নিশ্চয়ই ভেবেছে নির্বাচকরা। তাই ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ওকে নিউজিল্যান্ড সফরে পাঠানো হয়েছিল। অভিমন্যু ছাড়াও শাহবাজ এবং আকাশ দীপকে নিয়েও দারুণ প্রত্যয়ী প্রণব রায়। এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে, এই দুই তরুণ ক্রিকেটার চলতি মরশুমে দারুন পারফর্ম করেছে। সবথেকে বড় কথা, এবার বাংলা দলের সবাই কমবেশি অবদান রাখছে দলের সাফল্যে। প্রত্যেক ম্যাচেই কেউ না কেউ ভালো খেলে দিচ্ছে। তাই বলা যেতে পারে বাংলা দল আর এক বা দু’জন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল নয়।
কর্ণাটকের হয়ে এই ম্যাচে খেলবেন লোকেশ রাহুল। এছাড়াও করুণ নায়ার, মনীশ পান্ডের মতো ক্রিকেটার রয়েছে তাদের দলে। এরকম শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জিততে গেলে সবাইকে সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রণব। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে কর্ণাটককে হারিয়েছিল বাংলা। সেই স্মৃতি সামনে মেলে ধরে বর্তমান ক্রিকেটারদের উদ্ধুদ্ধ করতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, প্রতিপক্ষ কত শক্তিশালী সে দিকে নজর না দিয়ে প্রত্যেককে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে দলের জন্য।
কোচ হিসেবে অরুণলালকে লড়াকু ও সাহসী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন প্রণব। তিনি জানান, ক্রিকেটার হিসেবে লালজি যখন খেলতেন তখন দলের জন্য সেরাটাই দিতেন। সেই মনোভাব তিনি বর্তমান দলের সমস্ত খেলোয়াড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন। আর সেটাই এবার বাংলার সাফল্যের অন্যতম রসায়ন।