বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ওয়েলিংটন টেস্টে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে ভারতীয় দল। দুই ইনিংসেই দুশোর কম রানে আটকে যায় টিম ইন্ডিয়া। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ছাড়া প্রথম সারির আর কোনও ব্যাটসম্যানই খ্যাতির প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ। রান পাননি অধিনায়ক কোহলিও। তবে নিজের ব্যর্থতার চেয়েও তাঁকে বেশি হতাশ করেছে সতীর্থদের রক্ষণাত্মক মনোভাব। বেসিন রিজার্ভে অতিরিক্ত সতর্ক হতে গিয়েই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সহজাত ব্যাটিং থেকে সরে এসেছেন বলে কোহলির মন্তব্য। পূজারা-রাহানেরা বল খেলেছেন বেশি। অথচ রান তুলতে পারেননি। যা দেখে ক্ষুব্ধ কোহলি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ব্যাটিংয়ের ভাষা বদলানো দরকার। অতি সতর্কতার সঙ্গে ব্যাটিং দলকে মোটেও সাহায্য করছে না। উইকেট বাঁচাতে গিয়ে সহজাত শট খেলাই বন্ধ করে দিচ্ছে ব্যাটসম্যানরা।’
প্রসঙ্গত, ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ বল খেলে ১১ রান করেন পূজারা। ৭৯ বলে হনুমা বিহারির সংগ্রহ ১৫ রান। আর রাহানে ২৯ রান করতে খেলেন ৭৫টি বল। বিরক্ত কোহলি বলছেন, ‘কখন সিঙ্গলস নেব, সেটাও শর্তসাপেক্ষ হলে চলবে? ভালো বলের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে তো আউট হয়ে যাবেন। খেলার মাঠেই অনেকরকম টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যদি ভাবনা পরিষ্কার থাকে, সেক্ষেত্রে যেকোনও পরিস্থিতি অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।’
কোহলি নিজে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পছন্দ করেন। তাই ‘আলট্রা ডিফেন্সিভ’ মানসিকতার ঘোরতর বিরোধী তিনি। এই প্রসঙ্গে ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘সবুজ উইকেট থাকলে আমি প্রতি-আক্রমণের রাস্তা নেব। তাতে দলের রান যেমন বাড়বে, তেমনই ভেঙে যাবে প্রতিপক্ষ বোলারদের মনোবলও। আর একের পর এক ডট বল খেললে অজান্তেই আত্মবিশ্বাস টলে যায়। বিদেশের মাটিতে খেলতে গেলে এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার। আমরা যদি কন্ডিশন নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করি তাহলে নিজেদের ব্যাটিং থেকে ফোকাস নড়ে যাবে।’ ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের আগে সতীর্থদের উদ্দেশে ভারত অধিনাকের বার্তা, ‘সতর্কতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’