পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জিদান এবং পেপ, দু’জনেই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যা একাধিক সাক্ষাৎকারে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। কোচ হিসেবে মিস্টার গুয়ার্দিওলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ট্রফি জেতার নিরিখে এগিয়ে তিনি। কিন্তু মাত্র চার বছরের কোচিং কেরিয়ারে তিনবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে জিদান বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রশিক্ষকের ভূমিকায় তিনি কারও চেয়ে কম নন। দৃষ্টিনন্দন পাসিং ফুটবলই পেপের দর্শন। জিদান আবার দেখনদারিতে ততটা বিশ্বাসী নন। কার্যকরী ফুটবল খেলে জয় তুলে নেওয়াই ফরাসি কোচের প্রধান লক্ষ্য। এই মুহূর্তে দু’টি দলের মধ্যেই ধারাবাহিকতার অভাব সুস্পষ্ট। তবে ম্যান সিটির পক্ষে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সম্ভাবনা কার্যত নেই। পক্ষান্তরে, রিয়াল মাদ্রিদ এখনও লা লিগা খেতাবের দৌড়ে প্রবলভাবেই রয়েছে।
উয়েফার শাস্তির কবলে পড়ে কি পেপ গুয়ার্দিওলা-ব্রিগেডের ফোকাস নড়ে গিয়েছে? সিটির বেলজিয়ান তারকা কেভিন ডি ব্রুইন জানাচ্ছেন, ‘শাস্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ কী তা ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে। আমরা পেশাদার ফুটবলার। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরার চেষ্টা করব। আপাতত আমাদের লক্ষ্য, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করা। উয়েফার শাস্তি দলের ফোকাসে বিন্দুমাত্র চিড় ধরাতে পারেনি।’
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম পর্বের ম্যাচে সামান্য হলেও এগিয়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেডিগ্রি অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর। এই নিরিখে রিয়াল অনেকটাই এগিয়ে। স্পেনের ক্লাবটি এখনও পর্যন্ত ১৩বার ইউরোপ সেরা হয়েছে। পক্ষান্তরে সিটির কাছে এই ট্রফি ‘অধরা মাধুরী’।
লা লিগার গত দু’টি ম্যাচে জয় পায়নি জিদানের দল। এই পদস্খলনের সুযোগ নিয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে বার্সেলোনা। তবে এর প্রভাব বুধবারের ম্যাচে পড়বে না বলেই আশাবাদী ফরাসি কিংবদন্তি। ঘরের মাঠে ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই তিনি দল সাজাবেন। আপফ্রন্টে বেল, বেনজেমা ও ইসকো। মাঝমাঠে তাঁর বড় অস্ত্র ব্রাজিলের কাসেমিরো ও জার্মানির টনি ক্রুজ। এই দু’জন পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে সিটির ফ্রি ফ্লোয়িং ফুটবল অনেকটাই ধাক্কা খাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। উল্লেখ্য, চোটের জন্য এই ম্যাচে জিদান পাবেন না বেলজিয়ান তারকা ইডেন হ্যাজার্ডকে। পেপ আবার চাইছেন, কেভিন ডি ব্রুইন এবং বার্নাডো সিলভাকে দিয়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণে ঝড় তুলতে। গোলের জন্য জিদানের সেরা ভরসা অবশ্যই বেনজেমা। ঠিক তেমনি পেপ তাকিয়ে থাকবেন সের্গিও আগুয়েরোর দিকে। রক্ষণ সংগঠন মজবুত রাখার জন্য র্যামোস-ভারানে জুটির উপরেই নির্ভরশীল জিজু। সিটির ডিপ ডিফেন্সে ফার্নান্দিনহো ও লাপোর্তে কীভাবে বেনজেমা-ইসকোদের সামলান তার উপরে অনেকাংশে নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোহীন রিয়াল মাদ্রিদকে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিয়ে চলেছেন জিজু। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য নয়, দলগত সংহতিই তাঁর হাতিয়ার। এদিকে, প্রিমিয়ার লিগ প্রায় হাতছাড়া হওয়ার পর পেপের পাখির চোখ এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই। সবমিলিয়ে জমজমটা লড়াইয়ের দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে এই গ্রহের ফুটবলপ্রেমীরা।
রিয়াল মাদ্রিদের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: কুর্তোয়া, কার্ভাহাল, র্যামোস, ভারানে, মেন্ডি, ভালভার্দে, কাসেমিরো, ক্রুজ, বেল, বেনজেমা ও ইসকো।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: এডারসন, ওয়াকার, ফার্নান্দিনহো, লাপোর্তে, মেন্ডি, কেভিন ডি ব্রুইন, রডরিগো, বার্নাডো সিলভা, মাহরেজ, আগুয়েরো ও স্টার্লিং।
ম্যাচ শুরু রাত দেড়টায়।