বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
বেসিন রিজার্ভে দুই ইনিংসেই চরম ব্যর্থ হয়েছে ভারতের গর্বের ব্যাটিং লাইন-আপ। প্রথম ইনিংস ১৬৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস আটকে গিয়েছে ১৯১ রানে। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ কোহলি। ফলে দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে তাঁর হতাশা ও অসন্তোষ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অহমিকা টলে যাওয়ার ঔদ্ধত্য। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলির কথাবার্তায় তা স্পষ্ট ধরা পড়ল। ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা যে এই ম্যাচে ভালো খেলতে পারিনি, তা জানি। কিন্তু এটাকে বিশাল বড় করে দেখার কারণ নেই। অহেতুক সমালোচনা আমি মানতে নারাজ। আমার ধারণা, একটা হারেই ভারত রাতারাতি খারাপ দলে পরিণত হয়নি। কেউ কেউ ভাবতেই পারেন, এই হারে পৃথিবী রসাতলে গেল। কিন্তু আমরা তা মনে করি না। টিম ইন্ডিয়ার কাছে এটা স্রেফ আর একটা পরাজয়। আর সেটা এখন অতীত। ওয়েলিংটনের ব্যর্থতায় হতাশ হলেও আমরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ছি না। বরং মাথা উঁচু রেখেই পরের টেস্ট খেলতে যাচ্ছি। কারণ পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মধ্যে কোনও লজ্জা নেই।’ কোহলি আরও বলেন, ‘আমরা এটাও জানি যে, জিততে হলে ভালো খেলতে হবে। আর তা ঘরে হোক বা বাইরে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনও ম্যাচই সহজ নয়। সব দলই জেতার জন্য মাঠে নামে। তাই সাফল্যের মতো ব্যর্থতাকেও খোলা মনে মেনে নিতে হবে। আর এর উপরেই দলের চারিত্রিক দৃঢ়তা নির্ভর করে।’
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবলের এক নম্বর দল হয়েও টিম ইন্ডিয়ার এমন শোচনীয় আত্মসমর্পণ কিছুতেই মানতে পারছেন না ভারতীয় সমর্থকরা। ফলে বইতে শুরু করেছে সমালোচনার ঝড়। কিন্তু ভারতীয় শিবির যে তাকে পাত্তা দিচ্ছে না, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কোহলি। তাঁর কথায়, ‘সমালোচনাকে পাত্তা দিই না বলেই আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল হয়ে উঠতে পেরেছি। মাঠের বাইরের শোরগোলকে গুরুত্ব দিলে আমরা ফের সাত-আট নম্বরে নেমে যেতাম। তাই কে কী বলছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। বরং পরের টেস্ট জেতার জন্য এখন থেকেই আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। এই হারের জেরে খেলার ধরন পাল্টে ফেলব না। তবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে যা যা করা দরকার, তা করব। তাই বলে পিছনে পা ফেলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’