কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সেমি-ফাইনালে বাংলার লড়াই সত্যিই বেশ কঠিন। কারণ, প্রতিপক্ষ কর্ণাটক আটবারের চ্যাম্পিয়ন। যারা কোয়ার্টার-ফাইনালে জম্মু ও কাশ্মীরকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়ারের মতো তারকা ব্যাটসম্যান রয়েছেন বিপক্ষ দলে। শোনা যাচ্ছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে বিরাট কোহলির এক নম্বর অস্ত্র লোকেশ রাহুলও নাকি বাংলার বিরুদ্ধে খেলবেন। কর্ণাটকের বোলিংও যথেষ্ট শক্তিশালী। কলকাতা নাইট রাইডার্সের উঠতি তারকা পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, অভিমন্যু মিঠুনের পাশাপাশি রণিত মোরে ইডেনের পিচে আগুন ঝরাতে পারেন। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, জগদীশ সুচিতের মতো স্পিনাররাও বাংলার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষার মুখে ফেলবেন। তবে বাংলার কোচ অরুণ লাল প্রতিপক্ষ কর্ণাটককে পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁর সাফ কথা, ‘ছেলেদের বলেছি, এখন সেমি-ফাইনাল নিয়ে না ভাবতে। কর্ণাটক খাতায়-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, আমরা টক্কর দেব।’বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট ইডেনে পেস সহায়ক উইকেটে খেলতে চাইছে। সেক্ষেত্রে ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, নীলকণ্ঠ দাসের সঙ্গে চোট সারিয়ে ফেরা আকাশ দীপকেও প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু অতীতে দেখা গিয়েছে, বিপক্ষ শিবিরকে বিপাকে ফেলতে গ্রিন টপ উইকেট বানিয়ে ব্যুমেরাং হয়েছে বাংলার কাছে। তাই পিচ নিয়ে বাংলা দল দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছে। এমনিতেই, এখন আর স্থানীয় কিউরেটর ম্যাচের সময় দায়িত্বে থাকেন না। নিরপেক্ষ কিউরেটর বাংলা-কর্ণাটক রনজি সেমি-ফাইনালের দায়িত্ব সামলাবেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ইডেনের পিচের চরিত্র দেখার পর মনে হচ্ছে পেসাররাই সুবিধা পাবে।
বাংলা-ওড়িশা কোয়ার্টার-ফাইনাল ড্র হয়। তবে প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় অরুণ লালের ছেলেরা শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। সোমবার, ম্যাচের পঞ্চম দিনে বাংলা দল ৭ উইকেটে ৩৬১ রান নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু ১২ রানের মধ্যেই বাকি ৩টি উইকেটের পতন ঘটে। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরণরা তোলেন ৩৭৩ রানে। ওড়িশা ৪৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। দুই ওপেনার অনুরাগ সারাঙ্গি ও শান্তনু মিশ্র বেশ ভালোই ব্যাট করছিলেন। ওড়িশার স্কোর যখন ছিল বিনা উইকেটে ৩৯ রান, তখন মন্দ আলোর জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। লাঞ্চ এগিয়ে আনেন আম্পায়াররা। যদিও পরে আর খেলা শুরু হয়নি।