পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কটক, ২২ ফেব্রুয়ারি: রনজি ট্রফির কোয়ার্টার-ফাইনালে ওড়িশার বিরুদ্ধে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে বাংলা। আর সেই সঙ্গে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলা এগিয়ে ১৬১ রানে। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। অভিষেক রামন ৪ ও মনোজ তিওয়ারি ৩ রানে ক্রিজে আছেন। ৮২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালোই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার কৌশিক ঘোষ ও অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তাঁরা যোগ করেন ৬০ রান। অভিমন্যু ৩০ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। অল্পের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি পাননি কৌশিক (৪১)। খেলা এখনও দু’দিন বাকি। মনোজ, রামনরা যদি ঠান্ডা মাথায় বড় রান খাড়া করতে পারেন, তাহলে ওড়িশার পক্ষে ম্যাচে ফেরা কঠিন হবে।
গতকাল যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই এদিন শুরু করেন বাংলার বোলাররা। বিশেষ করে তিন পেসার ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, নীলকণ্ঠ দাসের প্রশংসা করতেই হবে। শুরুতে উইকেট দেখে মনে হয়েছিল, পেসাররাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেবেন। কিন্তু খেলা যত গড়িয়েছে, ততই বাংলার কোচ অরুণ লালের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে। যদিও ফ্ল্যাট পিচে নিয়ন্ত্রিত এবং পরিকল্পিত বোলিংয়ে সাফল্য পেলেন বাংলার পেসাররা। ঈশান, নীলকণ্ঠ, মুকেশদের আগুনে পেসের সামনে ওড়িশার প্রথম ইনিংস ২৫০ রানেই শেষ হয়ে যায়। তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন বাংলার তিন পেসার।
ওড়িশা এদিন ৪ উইকেটে ১৫১ রান নিয়ে খেলতে নামে। দেবব্রত প্রধান ও ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশু সেনাপতি ক্রমশ বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন নীলকণ্ঠ। তাঁর বলে দেবব্রত প্রধান ১৫ রানে কট বিহাইন্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। তারপর মুকেশ কুমার পরপর তুলে নেন তিনটি উইকেট। তিনি ফেরান বিপ্লব সামন্ত্রে (৩), রাজেশ ধুপার (১০) ও সূর্যকান্ত প্রধানকে (১৩)। বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে কিছুটা লড়াই করেন শুভ্রাংশু। কিন্তু ৪৬ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয় ঈশানের বলে শাহবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বসন্ত মোহান্তিকে (৪) বোল্ড করে ওড়িশার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ঈশান। দিনের শেষে তিনি বলেন, ‘পেসারদের জন্য পিচে কোনও রসদ ছিল না। আমরা উইকেট টু উইকেট বল করেছি। জানতাম, ওরা ভুল করবেই। সেই সুযোগ হাতছাড়া করিনি।’
বোলারদের প্রশংসা করে কোচ অরুণ লাল বলেছেন, ‘ছেলেদের মানসিকতা বদলে গিয়েছে। এই ধরনের পিচে উইকেট নেওয়া কঠিন। কিন্তু নীলকণ্ঠ, মুকেশ, ঈশানরা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল। এখন আমরা জেতা ছাড়া কিছুই ভাবছি না।’