কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রনজি ট্রফির ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি সীমিত ওভারের সিরিজে খেলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা। তবে টেস্ট সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে ওঠায় পরে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। প্রথম টেস্টের মাত্র তিন দিন আগে (১৮ ফেব্রুয়ারি) পৌঁছান নিউজিল্যান্ডে। জেটল্যাগ কাটতে না কাটতেই মাঠে নেমে পড়তে হয় তাঁকে। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ইশান্ত বলেন, ‘ভীষণ ক্লান্ত আমি। দু’দিন ধরে ভালো ঘুমোতে পারিনি। বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ৪০ মিনিট ঘুমিয়েছি। আর ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ঘণ্টা তিনেক। সত্যি বলতে কী, এই টেস্টে খেলার মতো অবস্থায় আমি ছিলাম না। ওরা আমাকে খেলতে বলল। আমি খেললাম। কারণ, দলের জন্য আমি সবকিছু করতে রাজি।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি নই। ক্লান্তির কারণে পরিকল্পিত বোলিং করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই আমি বিরক্ত। অখুশিও।’ ইশান্ত আরও বলেন, ‘জেটল্যাগ থেকে রিকভারির সবথেকে ভালো উপায় হচ্ছে ঘুম। যত গভীর ঘুম হবে, ততই তরতাজা হবে শরীর। আর তখনই সম্ভব মাঠে সেরাটা উজাড় করে দেওয়া।’
বেসিন রিজার্ভের উইকেট ক্রমশ মন্থর হচ্ছে। পাশাপাশি কোকাবুরা বল ৪০ ওভারের পরেই নরম হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে গতি বজায় রেখে বল করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ইশান্ত। ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ১৬৫ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ২১৬ তুলে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। রবিবার লাঞ্চের আগে প্রতিপক্ষকে অল-আউট করতে পারলে, দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকবে বলে দাবি করেছেন ইশান্ত শর্মা। তাঁর মতে, খেলা যত গড়াবে, পিচ ততই ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠবে। পাশাপাশি অফ ফর্মে থাকা যশপ্রীত বুমরাহর পাশেও দাঁড়িয়েছেন ইশান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হচ্ছি, বুমরাহকে নিয়ে এত সমালোচনা দেখে। ভাবছি, কত তাড়াতাড়ি সময় বদলে যায়!’
মাস খানেক আগেও তাঁর নিউজিল্যান্ডে সফরে যাওয়া নিয়ে প্রবল সংশয় ছিল। সেখান থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে দলে ফিরতে পারার জন্য ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন ইশান্ত। তাঁর মন্তব্য, ‘আমার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার যাবতীয় কৃতিত্বই প্রাপ্য এনসিএ’র। কেউ ভাবতে পারেনি দু’টি লিগামেন্ট ছেঁড়ার পরও এত তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরতে পারব আমি। অনেকে তো বলেই দিয়েছিল, অন্তত দেড় মাস আমাকে বাইরে থাকতে হবে। সেই অবস্থা থেকে ফিরে এই টেস্ট খেলাটা দারুণ আনন্দের বিষয়। তাই ধন্যবাদ জানাব এনসিএ’র চিকিৎসকদের।’