পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের বিধ্বংসী পেস বোলিংয়ের সামনে ভারতের মাত্র দুই ব্যাটসম্যান কিছুটা লড়াই করতে পেরেছেন। অজিঙ্কা রাহানে (অপরাজিত ৩৮) ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৩৪)। দিনের শুরু থেকে ক্রমাগত উইকেট পতনের মাঝে দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে লাঞ্চ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ওপেনার মায়াঙ্ক। সেই সুবাদে তাঁর নামের পাশে লেখা হয়ে যায় একটি নজিরও। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় ভারতীয় ওপেনার হিসেবে প্রথমে সেশনে অপরাজিত থাকতে সক্ষম হন তিনি। তাঁর আগে কেবলমাত্র মনোজ প্রভাকরই এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে প্রথম ভারতীয় ওপেনার হিসেবে প্রথম সেশনে নট-আউট ছিলেন প্রভাকর। শুক্রবার সেই নজিরের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন মায়াঙ্ক। তবে প্রভাকরের মতো বড় রান পাননি কর্নাটকের তরুণ ব্যাটসম্যানটি। ৩০ বছর আগে নেপিয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রভাকর ওপেন করতে নেমে ৯৫ রান করেছিলেন। আর মায়াঙ্ক এদিন ফিরলেন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে।
দীর্ঘক্ষণ বাইশ গজে কাটিয়েও ইনিংসকে আরও লম্বা করতে না পারার আপশোস ধরা পড়ল মায়াঙ্কের গলায়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সফরকারী দলের কাছে যে কোনও সিরিজের প্রথম দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্য, তা আজ আমাদের পক্ষে যায়নি। বেসিন রিজার্ভের বিপজ্জনক উইকেটে ব্যাটিং করতে গিয়ে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয়েছে আমাদের। গতি ও বাউন্সে ভরা বাইশ গজে পেস বোলারদের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিয়েছিল জোরালো দমকা হাওয়া। ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করার পরেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার উপায় ছিল না। ফলে সারাক্ষণ মনের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। আর সেটাই আমাদের ইনিংসকে আরও বেশি বিপদে ফেলে দিয়েছে।’ পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের নবাগত পেসার কাইল জেমিসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মায়াঙ্ক।