কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সালটা ১৯৮১। তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি। বেসিন রিজার্ভে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল রবি শাস্ত্রীর। সেই একই মাঠ এবং একই তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নামছেন বিরাট কোহলিরা। ৩৯ বছর পর বেসিন রিজার্ভে কোচের ভূমিকায় ফেরাটা শাস্ত্রীর কাছে নিঃসন্দেহে বিশেষ মুহূর্ত। স্বাভাবিকভাবেই ওয়েলিংটন টেস্ট শুরুর আগে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ওয়েবসাইটে চেতেশ্বর পূজারাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেন, ‘একই শহর, একই মাঠ এবং একই বিপক্ষ। তারিখটাও এক। শুধু এবার আমার ভূমিকাটা আলাদা। এই মাঠেই ৩৯ বছর আগে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল। আর এবার এসেছি কোচ হিসেবে। এখানে ফিরে দারুণ লাগছে। ড্রেসিং-রুমে গিয়ে দেখলাম কিছুই বদলায়নি। ভারতের জার্সি পরেই এখানে আবার ফিরব কখনও ভাবিনি। তাই আমি কিছুটা আবেগতাড়িত।’
অভিষেক ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শাস্ত্রী। আর ব্যাট করতে নেমেছিলেন ১০ নম্বরে। দ্বিতীয় টেস্টেও বল হাতে সাফল্য বজায় রেখে এক ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। বেসিন রিজার্ভের স্মৃতি আজও তাঁর কাছে টাটকা। শাস্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। ওই দিনটা সবার জীবনেই স্পেশাল হয়ে থাকে। চার দশক আগের সেই দিনগুলো এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মনে পড়ে, সেবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ আমি ওয়েলিংটনে পৌঁছেছিলাম। বিমানবন্দরে আমাকে নিতে এসেছিলেন প্রয়াত বাপু নাদকার্নি। ভারতীয় দল ওই সময় হাই-কমিশনারের দপ্তরে থাকলেও আমাকে সরাসরি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিলীপ বেঙ্গসরকার ছিল আমার রুম পার্টনার। পরের দিন সকালে টস হেরেছিল সানি। আমরা ফিল্ডিং করতে নেমেছিলাম।’
অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামার আগে তিনি যে স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন, সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম টেস্টে নামার সময় যে কোনও ক্রিকেটারের মতো আমিও ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। একেবারে ভিন্ন পরিবেশে বল করতে হয়েছিল। ঠান্ডা হাওয়া কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল। পলি উমরিগড় তা লক্ষ্য করে নিজের সোয়েটার খুলে দিয়েছিলেন আমাকে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে ধাতস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। তবে বোলিংয়ের সময় লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। জেরেমি কোনির উইকেট নেওয়ার পর বেড়েছিল আত্মবিশ্বাস।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চোখের সামনে দেখছিলাম হ্যাডলি, ল্যান্স কেয়ার্নস, রাইট, হাওয়ার্ডদের। মনের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি হচ্ছিল। গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ ছিল আমার শৈশবের হিরো। তাঁর সঙ্গে খেলতে পারাটাও আমার কাছে দারুণ ব্যাপার ছিল।’