পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০২৫ সালে রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, পুরুষদের ওডিআই চ্যাম্পিয়ন্স কাপ এবং মহিলাদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ২০২৬ সালে হবে পুরুষ ও মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ। ২০২৭ সালে ফের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে। তাছাড়া দশটি দলকে নিয়ে হবে পুরুষদের বিশ্বকাপ এবং মহিলাদের ওডিআই চ্যাম্পিয়ন্স কাপ। ২০২৮ সালে আইসিসি দু’টি মেগা টুর্নামেন্টের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথমে হবে পুরুষদের ও মহিলাদের টি-২০ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ। ২০২৯ সালে ফের হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, পুরুষ ও মহিলাদের ওডিআই চ্যাম্পিয়ন্স কাপ। ২০৩০ সালে পুরুষ ও মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইছে আইসিসি। প্রস্তাবিত নয়া সূচিতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও পুরুষদের ওডিআই বিশ্বকাপ হবে। এর আগেও আইসিসি ২০১৫-২০২৩ সালের ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করেছিল। যেখানে মোট ছ’টি বড় টুর্নামেন্ট হওয়ার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু পরের আট বছরের জন্য বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা যে প্রস্তাবিত ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০টি বড় টুর্নামেন্ট হবে। এই ব্যাপারে সদস্য ও সহযোগী দেশের কাছে ই-মেল পাঠিয়েছে আইসিসি। জানতে চেয়েছে, কোন কোন দেশ কী কী টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আগ্রহী।
কিন্তু বিসিসিআই কর্তাদের সাফ যুক্তি, আট বছরে এতগুলি টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাছাড়া আট বছরে আটটি বড় ইভেন্ট করাও সম্ভব নয়। তাতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঠিকভাবে পরিচালনা করা যাবে না। কোন যুক্তিতে আইসিসি ২০টি টুর্নামেন্ট করতে চাইছে? তাছাড়া প্রত্যেক বছর আইসিসি’র ইভেন্ট হলে, দর্শকদের আগ্রহ কমবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। তাই বিসিসিআই প্রথম থেকেই আইসিসি’র প্রস্তাবিত নয়া ক্রীড়াসূচি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। একই মত পোষণ করেছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘বিগ থ্রি’ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে চাপে রাখতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে আইসিসি। কারণ, তিন দেশ মিলে সুপার সিরিজ আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল আইসিসি। মূলত রেভিনিউ বাড়ানোর লক্ষ্যেই সুপার সিরিজ করতে চায় ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আইসিসি’র প্রস্তাবিত ক্রীড়াসূচি দেখে মনে হচ্ছে, সুপার সিরিজের সময় বের করা কঠিন হবে ‘বিগ থ্রি’র পক্ষে। এমনিতেই আইপিএলের জন্য দু’মাস নির্ধারিত থাকে। বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করেন ক্রোড়পতি লিগে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ ও ইংল্যান্ডের টি-২০ ব্ল্যাস্টও আইসিসি’র নতুন ক্রীড়াসূচিতে প্রভাবিত হতে পারে। মার্চে রয়েছে আইসিসি’র বোর্ড মিটিং। সেখানেই প্রস্তাবিত ক্রীড়াসূচি নিয়ে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত সেদিকেই চোখ ক্রিকেট দুনিয়ার।