কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রথম পর্বে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে হারের প্রভাব কি শনিবার পড়বে? আপনারা কি চাপে রয়েছেন? সেনেগালের স্ট্রাইকার পাপার সপ্রতিভ উত্তর, ‘কোনও চাপই নেই। সমর্থকদের প্রত্যাশার কথা আমরা সকলেই জানি। প্রথম পর্বে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে মোহন বাগানের ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। সেদিনও দল ভালো খেলেছিল। লা লিগায় এর চেয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে খেলেছি। তাই শনিবার ভয়ডরহীন ফুটবলই খেলব। স্কোরশিটে আমার নাম তোলা বড় ব্যাপার নয়। দলের জয়ই মুখ্য। প্রথম দিকের চেয়ে আমি এখন অনেক বেশি ম্যাচ ফিট।’
সল্টলেক স্টেডিয়ামের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড থেকে বের হওয়ার সময়ে অনুরাগীদের সঙ্গে ছবি তোলা আর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা এখন ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজের অভ্যাস। মঙ্গলবার তিনি সাফ জানালেন,‘চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচকে সকলে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। অনেকেই ম্যাচটি ঘিরে উত্তেজিত। আমার চোখে চার্চিলের থেকে গোকুলাম কেরল অনেক বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ। তা বলে গোয়ান ক্লাবটিকে আমি হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। তবে শনিবারের ম্যাচটিকে খেতাব নির্ধারক ম্যাচ বলতে রাজি নই। শনিবার এক পয়েন্ট পেলেও তা খুব খারাপ হবে না। গোকুলাম, চার্চিল ব্রাদার্স, পাঞ্জাব এফসি ভবিষ্যতে পয়েন্ট নষ্ট করবে। বাকি আটটি ম্যাচের মধ্যে ক’টি ম্যাচ জিতলে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব তা নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে চাই না। কল্যাণীতে হারের জ্বালা আমরা ভুলিনি। সেদিন চার্চিল আমাদের টেক্কা দিয়ে ম্যাচ জেতেনি। আমরা নিজেদের দোষে হেরেছিলাম। তাই শনিবার জেতার জন্য বাড়তি তাগিদ থাকবে।’
ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজের সঙ্গে মোহন বাগানের দু’বছরের চুক্তি আছে। আগামী মরশুমে মোহন বাগান ও এটিকে’র মধ্যে সংযুক্তিকরণ হচ্ছে। এই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তাঁর মন্তব্য, ‘নতুন দলে খেলার সুযোগ পেলে ভালো লাগবে। কলকাতাকে ভালোবেসে ফেলেছি। তবে সংযুক্তিকরণের পর নতুন দলে সুযোগ না পেলেও ক্ষতি নেই। আইএসএলের দু’টি দলের অফার পেয়েছি। হয়তো ভারতেই খেলব।’
পাশে দাঁড়ানো মোরান্তেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চার্চিল ব্রাদার্সের আপফ্রন্টে সিসে এবং উইলিস প্লাজার মধ্যে কে বেশি ভয়ঙ্কর? পার্টনার ড্যানিয়েল সাইরাসের মতোই মোরান্তের বিশ্লেষণ, ‘প্লাজা শেষ মুহূর্তে গোল করতে ওস্তাদ। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের মনঃসংযোগে চিড় ধরার সুযোগ নিতে পারে ও। সিসেও যথেষ্ট দক্ষ। তবে আমাদের পাপা দিওয়ারা ওদের দু’জনের থেকেই বিপজ্জনক।’
বোঝা গেল, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যকে ছাপিয়ে দলগত সংহতিই এবার মোহন বাগানের রিংটোন।