পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার বেহালায় আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসাবে ওই দু’জন বডি বিল্ডারকে নগদ অর্থ ও যোগ্যতার নিরিখে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। ওই দু’জনের মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন বিকাশ। চতুর্থ হয়েছেন সৌভিক। রাজ্য স্তরের মতো এত বড় মঞ্চে নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে স্থান দখল করতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই দু’জন বেশ খুশি। সেইসঙ্গে অনেক আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে বলে জানালেন তাঁরা। আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। বিকাশ ও সৌভিকের সাফল্যের এই খবর চাউর হতেই মালদহজুড়ে খুশির হওয়া ছড়িয়ে গিয়েছে।
বঙ্গবীর চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান দখল করা বিকাশ বাসফোর বলেন, বেহালায় বঙ্গবীরে স্থান পেয়েই ভীষণ ভালো লাগছে। আমি এখন খুব আনন্দিত। অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমার ট্রেনার বা গুরু অমিত কুণ্ডুর জন্য। তাঁকে এই জয় উৎসর্গ করছি। তিনি না থাকলে আমি এখানে পৌঁছতে পারতাম না। আমার অবস্থার কথা জানতে পেরে তিনি বিনামূল্যে আমাকে প্রশিক্ষণ দিতেন। এছাড়া কখন কোন ডায়েট অনুসরণ করতে হবে, সেটাও তিনি আমাকে বলে দিতেন। আমার মাসির বাড়ি গাজোলে। সেখান থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। মা ও মাসি আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার জন্য আরও বডি বানাতে হবে। আরও পরিশ্রম করতে হবে। ট্রেনারের কথা মতো আরও শিখতে হবে। জেলা প্রশাসন আমাদের সাহায্য করলে ভালো হয়। তাহলে অনেক দূর পৌঁছতে পারব।
তাঁর ট্রেনার গাজোলের অমিত কুণ্ডু বলেন, বিকাশের এই জয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। আমি এবং জিম কর্তৃপক্ষ ওর পাশে ছিলাম। যতদূর পেরেছি সহযোগিতা করেছি। ওকে দিনে ছয় ঘণ্টা করে খাটাতাম। এই ধরনের প্রতিযোগিতার বিদেশে খুব কদর রয়েছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যেও এখন বডি বিল্ডিংয়ের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়াতে হবে।
চতুর্থ স্থান দখলকারী শৌভিক দাস বলেন, বঙ্গবীর খুব বড় একটা প্ল্যাটফর্ম। সেখানে গিয়ে স্থান দখল করায় আমার অনেক দিনের স্বপ্ন সার্থক হলো। আমার ট্রেনার ইংলিশবাজার শহরের দীপঙ্কর রায়চৌধুরী আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। আগামী দিনে জাতীয় স্তরে খেলতে চাই। দেশ ও জেলার নাম উজ্বল করতে চাই। এর জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। প্রশাসন আমাদের মতো খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ালে ভালো হয়।
মালদহ জেলা বডি বিল্ডিং স্পোর্টসের জয়েন্ট সেক্রেটারি মিলন কুণ্ডু বলেন, বঙ্গবীর প্রতিযোগিতায় সব জেলার প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাতে আমাদের জেলার দুই খেলোয়াড় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে জেনে ভালো লাগছে। এরা সকলেই যোগ্য খেলোয়াড়। আমরা সবাই ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।