কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই ঐতিহাসিক সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষ্য সামনে রেখে এই বছরের শেষদিকে ফের অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারতীয় দল। চারটি টেস্ট ছাড়াও তিনটি ওয়ান ডে এবং তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবেন কোহলিরা। সেই প্রসঙ্গে স্টিভ ওয়া বলেন, ‘গত অস্ট্রেলিয়া সফরের চেয়ে এবার ঢের বেশি কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে ভারতকে। কারণ এবার পরিস্থিতিটা একেবারে আলাদা। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর অস্ট্রেলিয়া দলের চেহারাটাই বদলে গিয়েছে।’ এরপরই তিনি যোগ করেন, ‘আমার চোখে, অস্ট্রেলিয়াই ফেভারিট। ঘরের মাঠের উইকেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে আমাদের ছেলেদের। দারুণ ফর্মে রয়েছে পুরো দল। শেষবার ভারতের সিরিজ জয়কে খাটো না করেই বলছি, ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেরা ব্যাটসম্যান ছিল না। এখন ওয়ার্নার ও স্মিথ ফিরেছে। তার সঙ্গে দারুণ উত্থান ঘটেছে মার্নাস লাবুসানের। ওকে দেখে মনে হয় ওর মধ্যে রানের খিদে রয়েছে। আর সে জন্যই বারো মাসের মধ্যে সেরা চার টেস্ট ব্যাটসম্যানের তালিকায় ঢুকে পড়েছে মার্নাস। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণকেও এখন অনেক বেশি ধারালো লাগছে। কোনও সন্দেহ নেই টিম পেইনরা এবার বদলা নিতে মরিয়া হয়ে উঠবেন। তবে ভারতীয় দলও যথেষ্ট ভালো ছন্দে রয়েছে। ওদেরও খুব একটা দুর্বলতার জায়গা নেই। তাই এই সিরিজে দুই দলের লড়াই স্মরণীয় হয়ে উঠবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ এরপর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইনের প্রশংসা করে স্টিভ বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে টিম পেইন দারুণ কাজ করছে। নেতৃত্বে নিয়মিত উন্নতি করছে ও। তাই ওর অধিনায়কত্ব নিয়ে অযথা প্রশ্ন না তোলাই ভালো।’
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি রবিবার জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটি দিন-রাতের টেস্ট খেলবে ভারতীয় দল। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ৫৪ বছরের স্টিভ ওয়া বলেন, ‘বিরাট কোহলিরা যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্ট খেলার চ্যালেঞ্জটা নিল, সেটা দেখে আমার ভালো লেগেছে। যদি বিশ্বের সেরা দল হয়ে উঠতে হয়, তাহলে বিদেশের মাটিতে কঠিন পরীক্ষায় নামতেই হবে। ওদের সাহসী মানসিকতা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। ভারত এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে। তুলনায় গোলাপি বলে অস্ট্রেলিয়া দল অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের বলে রাখতে চাই, অস্ট্রেলিয়ার পিচে গোলাপি বলের চরিত্র কিন্তু অন্যরকম হবে।’ এরপর ভারতীয় বোলারদের প্রশংসা করে স্টিভ বলেন, ‘দেশের মাটিতে ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বিষাক্ত। বিশেষ করে যশপ্রীত বুমরাহর আলাদা করে প্রশংসা করতে হবে। তরুণ এই ফাস্ট বোলারটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রতিভার অধিকারী। ওর লড়াকু মানসিকতা, পেস ও লাইন-লেংথ অসাধারণ। ওর সঙ্গে দারুণ তাল মেলাচ্ছে ভারতের অন্য পেসাররাও। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বুমরাহদের থেকে অজি পেসাররাই বেশি কার্যকরী হবে বলেই আমার ধারণা।’
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়েও তিনি সদর্থক মত প্রকাশ করেছেন স্টিভ। তিনি বলেন, ‘যেভাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে আশাপ্রদ বিষয়। আমি নিশ্চিত, শেষ পর্যন্ত দুটো সেরা দলই লর্ডসের ফাইনালে খেলবে।’ কে হতে পারে প্রথমবারের চ্যাম্পিয়ন? প্রাক্তন অজি তারকার জবাব, ‘এটা পরিষ্কার হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরেই।’