পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কিদাম্বি শ্রীকান্তের মতো সিনিয়র তারকাকে ছাড়াই গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে সেমি-ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। তার ওপর দিনের প্রথম সিঙ্গলসে অ্যান্টনি সিনসুকা গিনটিংয়ের বিরুদ্ধে খেলার সময় আহত হয়ে কোর্ট ছাড়তে হয় সিঙ্গলস তারকা এইচএস প্রণয়কে। তবু হারার আগে হার মানেননি লক্ষ্যরা। ফেভারিট ইন্দোনেশিয়ার চোখে চোখ রেখে লড়ল ভারতীয় তরুণ ব্রিগেড। গিনটিংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম গেম ৬-২১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় চোট পেয়ে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন শ্রীকান্ত। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে পরের সিঙ্গলসে জিতে ভারতকে সমতায় ফেরান লক্ষ্য সেন। বিশ্বের ৭ নম্বর জোনাথন ক্রিস্টিকে হারিয়ে চমক দেন তিনি। ৪৮ মিনিটের লড়াইয়ে ২১-১৮, ২২-২০ স্ট্রেট গেমে জয় তুলে নেন লক্ষ্য। কিন্তু এরপর ডাবলস ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও হেরে যান অর্জুন-ধ্রুব জুটি। খেলা নির্ণায়ক গেমে টেনে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। টাইয়ে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরেও নাছোড়বান্দা লড়াই ছাড়েননি ভারতীয় শাটলাররা। দিনের তৃতীয় সিঙ্গলসে র্যাঙ্কিংয়ে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স মেলে ধরেন বাংলার শুভঙ্কর দে। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক উপরে থাকা হিরেন রুস্তাভিতোকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দেন তিনি। বিশ্বের ৪৭ নম্বর শুভঙ্কর জেতেন ২১-১৭, ২১-১৫ স্ট্রেট গেমে। সেই সুবাদে খেতাবি টাইয়ে ফের একবার সমতায় ফিরে আসে ভারত (২-২)। কিন্তু চূড়ান্ত ফারাকটা হয়ে যায় নির্ণায়ক দ্বিতীয় ডাবলস ম্যাচে। নিয়মিত পার্টনার সাত্ত্বিক সাইরাজ না থাকায় লক্ষ্য সেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলতে নেমেছিলেন চিরাগ শেঠি। তাঁদের উল্টোদিকে ছিল বিশ্বের এক নম্বর মার্কাস ফার্নাল্ডি ও কেভিন সাঞ্জায়া জুটি। ফলে আশার সমাধি ঘটতে বেশি সময় লাগেনি। অসহায় আত্মসমর্পণ করেন চিরাগ-লক্ষ্য জুটি। ৬-২১, ১৩-২১ স্ট্রেট গেমে হেরে যান তাঁরা। উল্লেখ্য, কোয়ার্টার ফাইনালে তাইল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের জন্য শেষ চারে পৌঁছেছিল ভারত।