পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার ম্যাচের নায়ক ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজ পুরোপুরি বিশ্রাম নিয়েছেন । চলতি মরশুমে মোহন বাগানের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবথেকে বেশি ওয়ার্কলোড নিয়েছেন মুনোজ। দু’দিন বিশ্রাম নিয়ে সোমবার আবার প্র্যাকটিসে নামবেন গঞ্জালেজ। ড্যানিয়েল-মোরান্তের সঙ্গে রক্ষণে গুরজিন্দরকে ফের লেফট ব্যাকে ফিট করতে চাইছেন কিবু ভিকুনা। মরশুমের প্রথম ২১টি ম্যাচে গুরজিন্দর সিং নিয়মিত খেলেছিলেন। ওই সময়ে মোহন বাগান কিন্তু পিয়ারলেস, এরিয়ানের কাছেও হেরেছিল। গোল খেয়েছিল ১৯টি। আই লিগে মোহন বাগান শেষ ম্যাচ হেরেছে ৮ ডিসেম্বর। চার্চিলের বিরুদ্ধে গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারের মতোই দুঃস্বপ্নের ফুটবল খেলেছিলেন গুরজিন্দর। ওই ম্যাচের পর টানা দশটি ম্যাচের প্রথম একাদশে ছিলেন ধনচন্দ্র সিং। রক্ষণে ধনচন্দ্র আসার পর মোহন বাগানের পারফরম্যান্স তো সকলেই জানেন।
ঘটনাচক্রে লাল কার্ড দেখায় ফিরতি পর্বে চার্চিল ম্যাচে নেই ধনচন্দ্র। আর তাঁর জায়গায় আবার দলে ফিরছেন গুরজিন্দর কুমার। কল্যাণীতে চার্চিলের ফর্মে থাকা উইং হাফ মাপুইয়া মোহন বাগান জনতার গুল্লুকে বেশ ঝামেলায় ফেলে দিয়েছেন। সেই চাপ কাটিয়ে গুরজিন্দর কুমার যাতে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেন সেইজন্য শনিবার থেকেই সক্রিয় ছিলেন কিবু। তিনি গুরজিন্দরের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন প্র্যাকটিসের ফাঁকে। আপাতত সাত দিন অন্য কোনও দিকে মন না দিয়ে গুরজিন্দরকে স্রেফ খেলায় মনোনিবেশ করতে বলেছেন। চলতি মরশুমে সবুজ মেরুনের ঘোষিত অধিনায়ক গুল্লু শনিবার বিকেলে স্টেডিয়াম ছাড়ার সময়ে বললেন, ‘ গত দুই মাসে দুটি ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলাম। কোচ আমাকে সাহস দিলেন। ধনচন্দ্র সাসপেন্ড। তাই আগামী দুটি ম্যাচ আমার কাছে চ্যালেঞ্জের।’ এক প্রশ্নের উত্তরে কিবু জানালেন, ‘শুক্রবারের ম্যাচে ৬-২ গোলে জিতলেও আমরা দশটি কর্নার দিয়েছি প্রতিপক্ষকে। এর মধ্যে ছ’টি এসেছে ধনচন্দ্র লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর। যদিও পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমি একজন মিডিও কমিয়ে গুরজিন্দর কুমারকে লেফট ব্যাকে নামিয়েছিলাম। তবুও ফাঁকফোকর সৃষ্টি হয়েছে। নেরোকা ম্যাচে গুরবিন্দর সিংকে বিনা প্রস্তুতিতে নামতে হয়েছে। হাতে পাঁচটি প্র্যাকটিস সেশন আছে। দলের রক্ষণ নতুন করে সেট করে নেব।’