পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২৮ বছর বয়সি শ্রীনিবাস যে এলাকার বাসিন্দা, কর্ণাটকের সেই কর্দমাক্ত মাঠে দুটো মহিষের সঙ্গে বাঁধা দণ্ড ধরে দৌড়তে হয় মনিবকে। শ্রীনিবাস সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর পোষ্য দুই মহিষকে নিয়ে মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ডে ১৪২.৫০ মিটার দৌড়ান শ্রীনিবাস। আর ১০০ মিটার দৌড়তে সময় নেন ৯.৫৫ সেকেন্ড। ২০০৯ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে বোল্ট ১০০ মিটার দৌড়তে সময় নিয়েছিলেন ৯.৫৮ সেকেন্ড। শ্রীনিবাস তাঁর চেয়েও ০.০৩ সেকেন্ড কম সময়ে ১০০ মিটার সম্পূর্ণ করেন। তারপরই তাঁকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। যা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীরও নজর এড়ায়নি।
মূলত, শুক্রবার শ্রীনিবাসের দৌড়ের ভিডিও সামনে আসতেই, অনেকেই রিজুজুকে অনুরোধ করেন যাতে তাঁকে একবার ওলিম্পিকসের জন্য ডাকা হয়। শশী থারুরের মতো ব্যক্তিত্বরা শ্রীনিবাসকে নিয়ে ট্যুইট করে বলেন, ‘উসেইন বোল্টের চেয়েও দ্রুত। কর্ণাটকের যুবক মহিষ নিয়ে দৌড়ে মাত্র ৯.৫৫ সেকেন্ডে ১০০ মিটার শেষ করল। আমি অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়াকে অনুরোধ করছি ওকে যেন তাদের অধীনে নিয়ে নেওয়া হোক। দেশের জন্য একজন ওলিম্পিকস চ্যাম্পিয়ন তৈরি হবে। জানি না এরকম আরও কত প্রতিভা এভাবে দেশে লুকিয়ে রয়েছে।’
পাশাপাশি মাহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রাও শ্রীনিবাস সম্পর্কে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘একবার শুধু এর চেহারাটার দিকে তাকানো যাক। যে কোনও সফল অ্যাথলিটের জন্য এটাই প্রধান। এবার রিজুজু ওকে ১০০ মিটার দৌড়ের জন্য তৈরি করুক। নয়তো কাম্বালাকে ওলিম্পিকসের একটা ইভেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। যে কোনও ভাবেই আমরা শ্রীনিবাসের থেকে একটা সোনা চাই।’
একের পর এক আসা অনুরোধে সাড়া দিয়েই ২৮ বছর বয়সি শ্রীনিবাসকে ট্রায়ালে ডাকার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। শনিবার রিজুজু ট্যুইট করে বলেন, ‘আমি শ্রীনিবাসকে সাইয়ের সেরা কোচেদের অধীনে ট্রায়ালে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করার জন্য কী ধরনের মানের প্রয়োজন সেটা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে হয়তো জ্ঞানের অভাব থাকতে পারে। বিশেষ করে অ্যাথলিটদের যে পরিমাণ বল দরকার হয় ও তাদের যেভাবে ধৈর্য অতিক্রম করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। তবে আমি চাই না দেশের কোনও প্রতিভা সুযোগ না পেয়ে নষ্ট হোক।’
আপাতত ঠিক হয়েছে, বেঙ্গালুরুর সাই ক্যাম্পাসেই শ্রীনিবাসের ট্রায়াল হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। সোমবারের মধ্যে তাঁকে সেখানে নিয়ে আসা হবে। তার জন্য ট্রেনের টিকিটও তাঁকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।