গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই মুহূর্তে ভারতের টেস্ট দলে রয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। তাঁদের যাচাই করে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমদিন মাঠে নামেননি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু সফল হল না তাঁর উদ্দেশ্য। মায়াঙ্ক আগরওয়াল, পৃথ্বী সাউ ও শুভমান গিলরা কেউই পারেননি অধিনায়কের প্রত্যাশা পূরণ করতে। রোহিত শর্মা চোট পেয়ে সফর থেকে ছিটকে গিয়েছেন। সুতরাং আসন্ন টেস্ট সিরিজে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন পৃথ্বী কিংবা শুভমানের মধ্যে কোনও একজন। তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল তাঁদের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারলেন না তিন তরুণ। যার মধ্যে পৃথ্বী এবং শুভমান তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি! মায়াঙ্ক আউট হন ১ রানে। বাইশ গজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেও। মাত্র ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
৩৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন চেতেশ্বর পূজারা ও হনুমা বিহারি। পঞ্চম উইকেটে ১৯৫ রান যোগ করেন তাঁরা। উইকেটে দারুণ জমে গিয়েও সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফিরতে হয় পূজারাকে। ৯৩ রান করে আউট হন তিনি। তাঁর ২১১ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসে রয়েছে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। পূজারা ফিরে গেলেও মনঃসংযোগ হারাননি হনুমা। শতরান পূর্ণ করার পর অন্যদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে রিটায়ার্ড আউটের পথ বেছে নেন তিনি। ১৮২ বলে তাঁর ১০১ রানের ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও তিনটি ছয়। হনুমা ক্রিজ ছাড়ার পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ভারতের ইনিংস। ঋষভ পন্থ নিজের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আউট হন ৭ রান করে। চরম হতাশ করেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। খাতাই খুলতে পারেননি তাঁরা। ৮ রান করে আউট হয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। উমেশ যাদব অপরাজিত থাকেন ৯ রান করে। ভারতের প্রথম ইনিংস ৭৮.৫ ওভারে শেষ হয়ে যায় ২৬৩ রানে। কিউয়ি বোলারদের মধ্যে স্কট কুগেলিন ও ইশ সোধি ৩টি করে উইকেট নেন। জ্যাক গিবসন পেয়েছেন ২টি উইকেট।
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নামবে ভারত। তার আগে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হনুমা। দিনের শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘উইকেটে ভালো বাউন্স ছিল। নিউজিল্যান্ডে এর আগে এত বাউন্স পাইনি। তাই বাইশ গজে মানিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লেগেছিল। বুঝেছিলাম, এই উইকেটে শুরুতে বড় শট খেলা যাবে না। পূজারাও বলেছিল, যত বেশি সম্ভব বল ছাড়তে। সেই মতো পরিকল্পনা করে এগিয়েছি। প্রথম টেস্টের আগে এই সেঞ্চুরি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিল।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করার জন্য আমি প্রস্তুত। যদি ওপেন করতে বলা হয়, তবুও আপত্তি করব না। যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমাকে কিছু বলা হয়নি।’