রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পাতিয়ালা, ১৪ ফেব্রুয়ারি: রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন মনোজ তিওয়ারি, অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। কারণ, পাঞ্জাবকে ৪৮ রানে হারিয়ে রনজি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলা। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলার প্রতিপক্ষ হতে পারে ওড়িশা। সেক্ষেত্রে ম্যাচটি হবে কটকে ২০-২৪ ফেব্রুয়ারি।
দুই ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচের সেরা পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন মনোজ তিওয়ারি। তবে শাহবাজ আহমেদ, অর্ণব নন্দী এবং আকাশ দীপের লড়াই মন ছুঁয়ে গিয়েছে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের। প্রথম ইনিংসে শাহবাজ নিয়েছিলেন সাতটি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও চারটি উইকেট তুলে নেন। ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরলেন এক সময়ে বাংলা দলে ব্রাত্য অর্ণব। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর লড়াকু ৫১ রানের ইনিংস বাংলার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। একটি উইকেটও পেয়েছেন তিনি। স্পিন সহায়ক পিচেও দারুণ বল করলেন পেসার আকাশ দীপ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনিই শুরুতে পর পর দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকে জোর ঝটকা দেন।
বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২০২ রানে। অর্থাৎ গতকালের (১৯৯/৯) থেকে মাত্র তিন রান যোগ করতে সফল হন ঋত্বিক চ্যাটার্জি (৬) ও রমেশ প্রসাদ (৬)। জয়ের জন্য পাঞ্জাবের টার্গেট দাঁড়াল ১৯০। আয়োজক রাজ্য পাঞ্জাব চেয়েছিল আন্ডার প্রিপেয়ার্ড উইকেটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাকে হারিয়ে রনজির শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করতে। কিন্তু সেই পরিকল্পনাই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে তাদের কাছে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাঞ্জাব। বাংলার পেসার আকাশ দীপ একে একে ফেরান অভিজিৎ গর্গ (০) ও শারদ লাম্বাকে (৩)। তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান অর্ণব। তাঁর বলে ২ রানে বোল্ড হন রোহন মাড়বাহা। পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন মনদীপ সিং দলের পতন রোধের মরিয়া চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৭ রান করে তিনি শাহবাজের বলে লেগ বিফোর হয়ে যান। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা বাংলার স্পিনার রমেশ প্রসাদের প্রথম রনজি উইকেট কৃষাণ আলাঙ্গ (১১)। ৩৭ রানে পাঞ্জাবের ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল বাংলার জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু রমণদীপ সিংয়ের চোয়ালচাপা লড়াই পাল্টা চাপে ফেলে দেয় বাংলাকে। ৩৭/৫ থেকে পাঞ্জাবের স্কোর পৌঁছে যায় ১০০ রানে। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের হয়তো তখন এটাই মনে হচ্ছিল, এবার হয়তো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হবে না। ঠিক তখনই শাহবাজ আহমেদের বলে ১৭ রানে লেগ বিফোর হন আনমোল মালহোত্রা।
কিন্তু রমণদীপ তখনও উইকেট কামড়ে পড়েছিলেন। চালিয়ে খেলে আস্কিং রেট দ্রুত কমিয়ে আনার কৌশল নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের থেকে সাহায্য না পাওয়ায় তাঁর লড়াই বৃথা যায়। রমণদীপ ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকলেও পাঞ্জাবের দ্বিতীয় ইনিংস ১৪১ রানেই শেষ হয়ে যায়। পাঞ্জাবের শেষ দুই ব্যাটসম্যান স্নায়ুর চাপ সামাল দিতে পারেননি। সিদ্ধার্থ কল (১) ও বলতেজ সিং (০) রানে আউট হওয়ার পরেই জয়োল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলার ক্রিকেটাররা।
এদিকে, এলিট ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপ থেকে পাঁচটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। বাংলার পাশাপাশি কর্ণাটক, গুজরাত, সৌরাষ্ট্র ও অন্ধ যেতে পারে।