গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার টসে জিতে প্রতিপক্ষ ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাকেঞ্জি হার্ভে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি ভারতের। ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিব্যাংশ সাক্সেনা। এরপর ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে ব্যর্থ হন তিলক ভার্মা (২) ও অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ (৫)। এই দুরবস্থায় দলকে ভরসা জোগান যশস্বী জয়সওয়াল। ধ্রুব জুরেলকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্থিতধী ইনিংস প্রশংসা পেয়েছে অনুরাগীদের। ৮২ বলে ৬২ রানের অতি মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন যশস্বী। এরপর অথর্ব আঙ্কেলেকরের অনবদ্য সাহসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ২৩৩ রান তোলে ভারত। ৫৪ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অথর্ব। তাঁর ইনিংস সাজানো রয়েছে ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। অজি বোলারদের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে উইকেটের চারদিকে তিনি স্ট্রোক নেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেছেন রবি বিষনোই (৩০)। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রান পেয়েছেন সিদ্ধেশ ভীর (২৫)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন যথাক্রমে কেলি ও মারফি।
ভারতের রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথমেই বিপদের সম্মুখীন হয় অস্ট্রেলিয়া। কার্তিক ত্যাগির অসাধারণ বোলিং ভেঙে দেয় বিপক্ষ ব্যাটিং লাইন-আপের মেরুদণ্ড। ১৭ রানের মধ্যে ৪উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। এই জায়গা থেকে তারা আর বেরতে পারেনি। ওপেনার ফানিং (৭৫), রো (২১) এবং স্কট (৩৫) প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ভারতের আকাশ সিং ধস নামান বিপক্ষ মিডল অর্ডারে। শেষ পর্যন্ত কার্তিক ত্যাগী ৪টি এবং আকাশ সিং ৩টি উইকেট দখল করেন। কার্তিকের বোলিং পরিসংখ্যান, ৮-০-২৪-৪। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ১৫৯ রানে। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে কার্তিক ত্যাগীকে।
ম্যাচের পর মাঠেই সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার আনন্দই যে আলাদা। তবে অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেন, ‘আত্মতুষ্ট হলে চলবে না। আমাদের কাজ এখনও বাকি। সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালে এরকমই পারফরম্যান্স মেলে ধরতে চাই।’