গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৯ বিশ্বকাপের (৫০-৫০) পর থেকে ভারত পাঁচটি টি-২০ সিরিজ খেলেছে। একটিতেও হারেনি। একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় সিরিজের ফল হয়েছিল ১-১। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা এখনও অবধি যে সাহসী ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন, তাতে মনে হয় না টি-২০ সিরিজ জিততে খুব বেশি সমস্যা হবে কোহলিদের। দারুণ ফর্মে রয়েছেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ার। দু’টি ম্যাচেই তাঁরা দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন। খামতি মিটিয়ে গত ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বুমরাহ, মহম্মদ সামি। টিম গেমের এমন ধারাবাহিক বিজ্ঞাপন খুব কম দেখা গিয়েছে ভারতের খেলায়। সেই তুলনায় কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড বেশ ছন্নছাড়া। পরপর দু’টি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় তারা প্রবল চাপে রয়েছে।
কোহলি সাধারণত উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নামতে পছন্দ করেন। কিন্তু শার্দুল ঠাকুরের অফ ফর্ম ভারতের হয়তো বোলিং বিভাগে পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য করবে। শোনা যাচ্ছে, শার্দুলের জায়গায় এই ম্যাচে খেলানো হতে পারে পেসার নবদীপ সাইনিকে। মঙ্গলবার নেটে তিনি দীর্ঘক্ষণ হাত ঘুরিয়েছেন। দুই তারকা পেসার বুমরাহ ও সামির উপর ভারতের সাফল্য নির্ভর করছে। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে খেলতে পারেন যুজবেন্দ্র চাহাল। দু’জন বোলিং অলরাউন্ডারও খেলাচ্ছে ভারত। এই ম্যাচেও তাই শিবম দুবে এবং রবীন্দ্র জাদেজার খেলার সম্ভাবনাই প্রবল।
ব্যাটিংয়ে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দারুণ ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলই ওপেন করবেন রোহিত শর্মার সঙ্গে। উইকেটকিপিংও করবেন তিনিই। প্রথম দু’টি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করে লোকেশ রাহুল দলকে যথেষ্ট স্বস্তি দিয়েছেন। তুলনায় রোহিতের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও চাপে রেখেছে টিম ইন্ডিয়াকে। তবে হিটম্যান ম্যাচ উইনার। সঠিক সময় জ্বলে ওঠার কৌশল তিনি জানেন। সেডন পার্কের বাইশ গজে প্রচুর রান উঠবে। সেক্ষেত্রে রোহিতের মতো তারকার কাছ থেকে বড় রানের প্রত্যাশা করা যেতেই পারে এই ম্যাচে। তিন নম্বরে কোহলি দলকে নির্ভরতা জোগাচ্ছেন। সিরিজের বড় প্রাপ্তি শ্রেয়াস আয়ার। চার নম্বরের সমস্যা অনেকটাই মেটাতে সফল তিনি। এই সাফল্য শ্রেয়াসকে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা করে দিতে পারে। এই ম্যাচেও উইকেটকিপিং করবেন লোকেশ । তাই পন্থের খেলার সম্ভাবনা কম। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসাবে মণীশ পাণ্ডের উপরই আস্থা দেখাচ্ছেন শাস্ত্রী। লোয়ার মিডল অর্ডারে শিবম দুবের সঙ্গে জাদেজাকেও ব্যাট হাতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। টি-২০ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড খুব খারাপ দল নয়। তবে চোট সমস্যায় জর্জরিত প্রথম সারির কয়েকজন বোলারের অনুপস্থিতি কিউয়িদের বোলিংকে দুর্বল করেছে। তবে ব্যাটিংয়ে কলিন মুনরো, গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, কলিন ডি’গ্র্যান্ডহোম ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। স্পিন অলরাউন্ডার স্যান্টনারের জায়গায় খেলতে পারেন ড্যারিল মিচেল। পেস আক্রমণে টিম সাউদি ছাড়া তেমন কোনও বড় নাম নেই। আর সেটাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপমুক্ত হয়ে খেলার সুযোগ করে দিতে পারে।