গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। গত শনিবার সিএবি’র পক্ষে গ্রিন টপ উইকেট করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে উইকেটে তেমন ঘাস ছিল না। কিন্তু শীতের সকালে শিশিরের কারণে ইডেনের উইকেটে প্রথম দু’ঘণ্টা ব্যাট করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। দিল্লির পেসাররা তার সুযোগ সেভাবে নিতে পারেননি। কিন্তু বাংলার ওপেনার অভিষেক রামন(৯), কাজি সাইফি(৯),মনোজ তিওয়ারি (৭) উইকেট ছুঁড়ে দেন। একটা সময় মাত্র ৭২ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। বাইশ গজে তখন লড়ছেন ওপেনার কৌশিক ঘোষ (১২২ বলে ৪৬ রান)। কিন্তু দ্রুত অর্ধশতরান করার লক্ষ্যে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দিল্লির পেসার খেজোলিয়ার বলে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। বাংলার রান তখন৪ উইকেটে ১০০। প্রবল চাপের মধ্যে দাঁতে দাঁত চেপে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে অনুষ্টুপ ও শ্রীবৎস তোলেন ১১৭ রান। পরে অনুষ্টুপ অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে শাহবাজ আমেদকে (৩৯ নট আউট) নিয়ে আপাতত ৬৯ রান যোগ করেছেন। ৮৩ ওভারে দিল্লি নতুন বল নেওয়ার পরেও বাংলা কোনও উইকেট হারায়নি। দিল্লির স্পিনার বিকাশ মিশ্র ৩টি উইকেট পেয়েছেন। ম্যাচের পর অনুষ্টুপ বললেন,‘এদিন শতরান পূর্ণ করে নিতে পারলে ভালো হতো। মঙ্গলবার নতুনভাবে শুরু করতে হবে। আমি সোমবার দিনের ২৮তম ওভারে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। এখন বল প্রায় নতুন আছে। মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় বেশ ভালো মুভ করবে। প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের বেশি তুলতে পারলেই ভালো।’ কোচ অরুণ লালের মন্তব্য,‘দলের টপ অর্ডারের বিপর্যয়ের মুখে কৌশিক মাটি কামড়ে পড়েছিল। অনুষ্টুপ ও শ্রীবৎসের অসাধারণ লড়াইয়ের কথা মনে রেখেও বলছি, কৌশিক নতুন বল খেলে না দিলে আমরা দুশো রানও তুলতে পারতাম না।’ তৃতীয় দিনে (বুধবার) শহরে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। দিল্লি ম্যাচের জন্য সিএবি’র ঘোষিত টিম লিস্টে রণদেব বসুর নাম না থাকলেও এদিন বাংলা শিবিরে তাঁকে দেখা গেল।