কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে অনায়াসে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৩২ রান তুলেছিল কিউয়ি ব্রিগেড। মার্টিন গাপটিল (৩৩), টিম শেফার্ট (৩৩) এবং কলিন মুনরো (২৬) ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য রান পাননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবীন্দ্র জাদেজা দু’টি উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান যশপ্রীত বুমরাহ, শার্দুল ঠাকুর ও শিবম দুবে। জবাবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ১৭.৩ ওভারে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ রোহিত শর্মা (৮)। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বিরাট কোহলিও (১১)। তবে দলের সেরা দুই তারকা দ্রুত আউট হলেও ফলাফলে তার আঁচ পড়তে দেননি দুরন্ত ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ার। ওপেন করতে নেমে রাহুল ৫০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার পথে শ্রেয়াস ৩৩ বলে করেন ৪৪ রান। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন তাঁরা। শেষদিকে শ্রেয়াস আউট হলেও ১৫ বল বাকি থাকতে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ছন্দে থাকা লোকেশ রাহুল।
ম্যাচ শেষে শ্রেয়াস আয়ার বলেন, ‘রোহিত ও বিরাট দ্রুত ফিরে যাওয়ায় আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি ও রাহুল তা অতিক্রম করতে সফল হয়েছি। আসলে চাপের মুখে রান তাড়া করতে এখন আমাদের ভালোই লাগে। আর তা শিখেছি বিরাটকে দেখেই।’ সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, রান তাড়া করার সময় প্রেক্ষাপট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা ভীষণ জরুরি। সব সময় মাথায় রাখতে হয় কত রান দরকার এবং কত আস্কিং রেটে তা করতে হবে। এই কাজটা সফলভাবে পালন করার ক্ষেত্রে বিরাট কোহলিই সেরা উদাহরণ। ব্যাট করতে নামার সময়ই ও ইনিংসের পরিকল্পনা তৈরি করে নেয়। আমিও তার কাছ থেকেই রান তাড়া করার কৌশল শিখেছি। বিরাট যেভাবে খেলে এবং ম্যাচ শেষ করে ড্রেসিং-রুমে ফেরে, তা সত্যিই অনুকরণের যোগ্য।’
শুধু কোহলি নন, রোহিত শর্মার কাছ থেকেও তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন বলে জানান শ্রেয়াস। প্রসঙ্গক্রমে বলেন, ‘আমি রোহিতের থেকেও ব্যাটিংয়ের বেশ কিছু জিনিস শিখেছি। বিরাট এবং রোহিতের মতো অসাধারণ দুই ব্যাটসম্যান দলের নতুন প্রজন্মকে সামনে থেকে পথ দেখিয়ে চলেছে। ওদের থেকে আরও অনেক কিছু শেখার আছে। আর সেই চেষ্টা আমি সবসময় চালিয়ে যাই। ব্যাট করতে নামলে আমিও এখন স্থির করে নিই, শেষ পর্যন্ত আমাকে অপরাজিত থাকতে হবে। এই ভাবনা আমাকে দারুণ সাহায্য করে।’
সাধারণত বড় শট খেলার জন্য তাঁর খ্যাতি থাকলেও শ্রেয়াস জানেন স্ট্রাইক রোটেট করাটাও কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তোমাকে সব রকমের শট খেলতে হবে, আবার সিঙ্গলসও নিতে হবে। ক্রিজের সঙ্গে মানিয়ে ওঠার জন্যই এটা দরকার। দেশের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলার পর আমি বুঝেছি, উইকেটে টিকে থাকাটা কতটা জরুরি। ভবিষ্যতেও আমি এভাবেই খেলে যেতে চাই।’