পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার ম্যাচের ১৪ থেকে ৩৬ মিনিটের মধ্যে ইস্ট বেঙ্গল তিনটি সহজ গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জয় ওখানেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কথা লাল-হলুদের। এই তিনটি ক্ষেত্রেই কোলাডোদের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ালেন চেন্নাই সিটি এফসি’র স্প্যানিশ গোলরক্ষক নাউজেট সান্তানা। ১৪ মিনিটে বক্সে হ্যান্ডবল করেন চেন্নাইয়ের স্টপার চার্লস। ইস্ট বেঙ্গলের হাইমে স্যান্টোস কোলাডোর নেওয়া দুর্বল পেনাল্টি কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন চেন্নাই গোলরক্ষক। ৩৪ মিনিটে ব্র্যান্ডন একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে বল গোলে ঠেলতে পারেননি। সান্তানা সঠিক সময়ে গোল ছেড়ে এসে বল বিপদমুক্ত করেন। দু’মিনিট পরেই কোলাডো একা গোলরক্ষককে সামনে পেয়েও হেলায় বল পোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন! এক্ষেত্রেও সান্তানা গোলের কোণ ছোট করে দেন।
এই তিনটি সুযোগের ক্ষেত্রেই কোলাডোরা নির্ভুল নিশানায় বল রাখতে ব্যর্থ। এর থেকে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, এই দলটায় সঠিক ফিনিশার নেই। এদিন ইস্ট বেঙ্গলের রিজার্ভ বেঞ্চে কোচের দায়িত্বে থাকা বাস্তব রায় ও স্প্যানিশ মার্শাল প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেন। গোলে রালতের জায়গায় মির্শাদ মিচু। স্টপারে মার্তি ক্রেসপির জায়গায় আসির আখতার। রাইট উইং হাফে পিন্টু মাহাতার জায়গায় ব্র্যান্ডন। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় চেন্নাইয়ের কাটসুমির থ্রু ধরে ফিটোর বাঁ-পায়ের শট সাইড নেটে লাগে। এদিন চেন্নাইয়ের আপফ্রন্টে নজর কাড়লেন প্রাক্তন জাতীয় স্ট্রাইকার সাব্বির পাশার পুত্র সুহেল পাশা। সুহেলের দু’পা সমান চলে। ৩৩ মিনিটে চেন্নাইয়ের স্প্যানিশ রাইট উইং হাফ ফিটোর বাঁ-পায়ে নেওয়া ফ্রি-কিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন ইস্ট বেঙ্গলের গোলরক্ষক মির্শাদ।
৪৮মিনিটে বিপক্ষ বক্সে ছোট্ট টার্নিংয়ে ডান পায়ে নেওয়া কোলাডোর কার্লিং শট বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন সেই সান্তানা। ৫৫ মিনিটে চেন্নাইয়ের ফিটোর প্রথম পোস্ট লক্ষ্য করে শট বিপদমুক্ত করেন মির্শাদ। ৫৯ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গলের ব্র্যান্ডন বক্সে আউটসাইড ডজ করে ডান পায়ে যে শট নেন তা পোস্টে লাগে।
৬৬ মিনিটে ব্র্যান্ডনের জায়গায় নামেন ক্রোমা। ৬৮ মিনিটেই ক্রোমা বল নিয়ে বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও ফার্স্ট টাচ খারাপ হওয়ায় গোল করতে পারেননি। ৬৮ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গলের গোল। কোলাডোর নিখুঁত মাইনাস থেকে বল গোলে ঠেলেন মার্কোস (১-০)। পাঁচ গোল করে ডিপান্ডা ডিকা, ফ্রান গঞ্জালেজের সঙ্গে সর্বাধিক গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন মার্কোস। ৭২ মিনিটে লালরিনডিকা রালতের বদলে মাঠে নামেন টংডাম্বা নাওরেম। ৭৬ মিনিটে কোলাডোকে বক্সে ট্রিপ করেন চেন্নাই ডিফেন্ডার। এবার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি কোলাডো (২-০)। বিরতির পর কোলাডো বেশ সক্রিয় ছিলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ক্রোমা। ম্যাচের সেরা কোলাডোই।