বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লন্ডন, ২৪ জানুয়ারি: বিরতির মিনিট পাঁচেক আগে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে মাঠ ছেড়েছেন সাদিও মানে। মিশরের মহম্মদ সালাহও যেন গোলভাগ্য ফেলে এসেছেন ড্রেসিং-রুমে। এই দু’জনের চোট ও ব্যর্থতাকে ঢেকে দিল রবার্তো ফারমিনোর গোলক্ষুধা। উলভারহ্যাম্পটনের কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে লিগ শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল লিভারপুল। ২৩ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট পেয়ে তারা কার্যত বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে।
লিগ তালিকায় সপ্তম স্থানে থাকা উলভস বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল লিভারপুলের দিকে। বল পজেশন ও পাস খেলার নিরিখে জুরগেন ক্লপ-ব্রিগেড এগিয়ে থাকলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েনি উলভস। দ্বিস্তরে রক্ষণ সাজিয়ে তারা প্রতিপক্ষের অধিকাংশ আক্রমণই রুখে দিয়েছে। কিন্তু শেষ দশ মিনিট লিভারপুলের চাপে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় তারা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন হেন্ডারসন (১-০)। এরপর মো সালাহ একাই দু’টি সোনার সুযোগ হাতছাড়া করেন। ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য প্রতি-আক্রমণই ছিল উলভসের হাতিয়ার। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে অ্যাডাম ট্রায়োরের ঠিকানা লেখা সেন্টারে জিমেনেজের হেড হার মানায় লিভারপুল গোলরক্ষক আসিলনকে (১-১)। এরপর ক্লপ-ব্রিগেডের সংশয়াতীত প্রাধান্য থাকলেও বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানিয়েছে প্রতিপক্ষ। ৮২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফারমিনো। সেই মুহূর্তে সাইড বেঞ্চের সামনে দাঁড়ানো জুরগেন ক্লপকে হতাশায় লাফিয়ে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু মিনিট দুই পরে হেন্ডারসনের পাস ধরে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান ফারমিনোই (২-১)। চলতি লিগে ২৩টি’র মধ্যে ২২টি ম্যাচেই জিতেছে লিভারপুল। শুধুমাত্র ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডই তাদের রুখে দিতে পেরেছিল। ক্লপ-ব্রিগেডের এই দুরন্ত ধারাবাহিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশেষজ্ঞরা। ২০০৩-০৪ মরশুমে আর্সেনাল কোনও ম্যাচে না হেরে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। অনেকের ধারণা, এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি।