ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আসন্ন সিরিজে ৫টি টি-টোয়েন্টি, ৩টি ওয়ান ডে এবং দুটি টেস্ট খেলবে ভারত। সফর শুরু হবে ২৪ জানুয়ারি প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে। এরপর মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩টি ওয়ান ডে খেলবেন কোহলিরা। সামনের মোট ৬টি একদিনের ম্যাচকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আঙ্গিকে দেখতে চাইছেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমরা চাই, টসে হার জিতের প্রভাব যেন আমাদের খেলার সমীকরণ থেকে মুছে যায়। পরিবেশ পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরতে হবে। বিশ্বের সব দেশেই আমরা সফল হতে চাই। এখন এটাই আমাদের আসল লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে চলেছি।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। ইতিমধ্যে আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। আগামী কয়েক মাস আমরা একদিনের ক্রিকেটও খেলব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে। সত্যি বলতে কী, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে আমাদের দল যেন একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে। যা ক্রমে জেদে পরিণত হয়েছে। সেই লক্ষ্য আমরা যেভাবেই হোক পূরণ করব।’
বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি দলের মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতিও বজায় রখাতে চান শাস্ত্রী। ভারতীয় কোচের বক্তব্য, ‘আমাদের অভিধানে ‘আমি’ শব্দটি নেই। রয়েছে ‘আমরা’। দলের কোনও সদ্যের মধ্যে নেই অহং ভাব। আমরা সমষ্টিগত সাফল্যে বিশ্বাসী। আমরা সব সময় একে অপরের সাফল্য উপভোগ করি, উদযাপন করি। আর এই মনোভাবই আমাদের দলকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে আমাদের এই সংস্কৃতি ও ঐক্য।’
সম্প্রতি পূর্ণ শক্তির অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে সিরিজ জয় প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, ‘এই জয় থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায় আমাদের দলের মানসিক দৃঢ়তা কত শক্তিশালী। ওয়াংখাড়েতে বিশ্রীভাবে হারার পরেও দল যেভাবে শেষ দুটি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতল, তা সত্যিই প্রসংশনীয়। সামনে আরও একটা কঠিন লড়াই। নিউজিল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তার ওপর ওরা ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে। তাই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও কারণ নেই। আমাদের দল বর্তমানের জমিতে পা রেখে হাঁটতে জানে। অতীতে কি হয়েছে, তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। কখনও কখনও শুধুমাত্র ইতিবাচক দিকগুলি থেকে প্রেরণা কুড়োতে অতীতের দিকে তাকাই, যাতে ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’