ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বাংলা-দিল্লি রনজি ম্যাচটি হবে ইডেনে ২৭-৩০ জানুয়ারি। কল্যাণীতে ভালো ফলের পরেও বাংলাকে বাধ্য হয়েই ইডেনে খেলতে হচ্ছে। কারণ, ম্যাচটি সরাসরি দেখানো হবে টিভিতে। ইডেনের পিচে পেস ও বাউন্স রয়েছে। তার মধ্যে ঈশান পোড়েলের মতো তারকা পেসারকে পাবে না বাংলা। তিনিও নিউজিল্যান্ডে আছেন। তাই আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমারের উপর ভরসা রাখতে হবে কোচ অরুণ লালকে। অশোক দিন্দাকে এই ম্যাচে ফেরানো হয় কিনা, সেদিকেও নজর থাকবে। খুব সম্ভবত ২৪ জানুয়ারি দিল্লি ম্যাচের জন্য বাংলার দল নির্বাচন হবে।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ না থাকায় বাংলার ব্যাটিং কাগজে-কলমে কিছুটা হলেও দুর্বল হবে। তাই সিএবি কর্তারা চাইছিলেন, নিউজিল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে ভারতীয় টেস্ট দলের উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাকে এই ম্যাচটি খেলাতে। কিন্তু গতকালই বোর্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঋদ্ধির রনজি খেলার প্রয়োজন নেই। তবুও সিএবি কর্তারা হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁরা ফের বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তাকে অনুরোধ করেন ঋদ্ধিকে খেলার অনুমতি দেওয়ার জন্য। তখন ওই কর্তা বলেন, বিসিসিআইকে আবার চিঠি দিতে। সেই মতো বুধবার বিকেলে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বোর্ডের সদর দপ্তরে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচকরা ঋদ্ধিকে রনজি খেলতে দিতে রাজি হননি বলে জানা যায়। কারণ, ঋদ্ধি রিহ্যাব শুরু করলেও এখনও ব্যাট হাতে তোলেননি। তাই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বাংলার উইকেটরক্ষককে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
এদিকে, সিএবি’র সভাপতি ও সচিব পদে অন্তর্বর্তী নির্বাচন ঘিরে ময়দান সরগরম। সভাপতি পদে মনোনয়ন দেবেন অভিষেক ডালমিয়া। তাঁর ছেড়ে আসা সচিব পদে বসার কথা সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা স্নেহাশিসের। কিন্তু উয়াড়ি ক্লাবের কর্তা প্রবীর চক্রবর্তীও সচিব পদে মনোনয়ন দিতে চাইছেন। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছে শাসকগোষ্ঠী, যাতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্নেহাশিস নির্বাচিত হতে পারেন। গত কয়েকদিন ধরেই সিএবি নির্বাচন নিয়ে গোপন বৈঠক চলছে। বুধবারও শাসকগোষ্ঠীর কর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন বলে খবর। বেশ কয়েকজন সিএবি’র সিনিয়র সদস্য বিক্ষুব্ধ। তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা চলছে।